শিরোনাম: কলেজ ফুটবল প্লে অফের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ, কঠিন হচ্ছে সিদ্ধান্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ফুটবল প্লে অফের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশটির দুটি প্রভাবশালী কনফারেন্স, বিগ টেন এবং সাউথইস্টার্ন কনফারেন্সের (এসইসি) মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে প্লে অফের কাঠামো কেমন হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন মৌসুমগুলোতে প্লে অফের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিগ টেনের কমিশনার টনি পেটিটি সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তারা প্লে অফে একাধিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ চান। অন্যদিকে, এসইসি চায় বাছাই কমিটির ক্ষমতা বাড়িয়ে আরও বেশি দলকে প্লে অফে অন্তর্ভুক্ত করতে, যেখানে তাদের সুপারিশ বেশি গুরুত্ব পাবে। এই দুই প্রস্তাবনার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
বিগ টেনের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্লে অফে ১৬টি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে কয়েকটি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া, শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর মধ্যে প্লে-ইন ম্যাচ আয়োজনেরও প্রস্তাব রয়েছে, যা কিছু ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। টনি পেটিটি মনে করেন, তাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে বিভিন্ন দলের মধ্যে তুলনা করা কঠিন হবে, বিশেষ করে যারা বিগ টেনের সদস্য।
তবে, প্লে অফের নতুন কাঠামো নির্ধারণের জন্য সময়সীমা নিয়ে এখনই কোনো চাপ দিতে রাজি নয় দলগুলো। এসইসির কমিশনার গ্রেগ স্যাংকি জানিয়েছেন, দুই কনফারেন্সের মধ্যে একটি সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানের ১২ দলের কাঠামোই বহাল থাকতে পারে।
এদিকে, আটলান্টিক কোস্ট কনফারেন্সের (এসি) কমিশনার জিম ফিলিপস প্লে অফের জন্য এমন একটি কাঠামোর পক্ষে মত দিয়েছেন যেখানে পাঁচটি দল সরাসরি সুযোগ পাবে এবং বাকি দলগুলো বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসবে। তিনি মনে করেন, সবার জন্য খেলার সুযোগ নিশ্চিত করতে বাছাই কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত।
বিগ টেন ও এসইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আটলান্টিক কোস্ট কনফারেন্স, বিগ ১২ এবং নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তথ্যসূত্র: