রাশিয়ার পার্লামেন্ট অনলাইনে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে বিবেচিত তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য নাগরিকদের শাস্তি দেওয়ার একটি বিল অনুমোদন করেছে। এই আইনের অধীনে, যারা নিষিদ্ধ কন্টেন্ট খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে, তাদের জরিমানা করা হবে।
শুক্রবার রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এই বিলটি দ্রুত অনুমোদন করে এবং এখন এটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে।
নতুন এই আইনে, অনলাইনে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত কোনো তথ্য খোঁজার জন্য সর্বোচ্চ ৬৪ মার্কিন ডলার জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায়, এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭,০০০ টাকার কাছাকাছি (১৪ই মে, ২০২৪ তারিখের বিনিময় হার অনুযায়ী)।
বিলে চরমপন্থী কার্যক্রমের একটি বিস্তৃত সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন এবং ‘আন্তর্জাতিক এলজিবিটি আন্দোলন’-এর মতো সংগঠনগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে, কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই আইনের প্রয়োগ করবে এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধ কন্টেন্ট অনুসন্ধানকারীদের আলাদা করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই আইন রাশিয়ায় ভিন্নমত দমন এবং অনলাইন স্বাধীনতাকে আরও সীমিত করার একটি পদক্ষেপ। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে, রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ অনলাইনে সেন্সরশিপ এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আরও জোরদার করেছে।
অনেক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাকে হয় ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অথবা তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও, সরকারের সমালোচক শত শত মানুষকে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে, অনেক রুশ নাগরিকই তাদের দেশে নিষিদ্ধ কন্টেন্ট দেখার জন্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) ব্যবহার করে থাকেন। তবে, কর্তৃপক্ষ এই ধরনের পরিষেবা ব্যবহারের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।