যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এমিল বোভ নামের এই কর্মকর্তার বর্তমানে ফেডারেল বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা রয়েছে। বভের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সিনেটে তাঁর শুনানির প্রাক্কালে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, অভিবাসন মামলার শুনানির সময় বোভ বিচার বিভাগকে আদালত অবমাননার পথ বেছে নিতে বলেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন একজন হুইসেলব্লোয়ার, যিনি বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন।
এই হুইসেলব্লোয়ারের দাবি, বোভের এমন পরামর্শ ছিল, যা আদালতের সম্মানহানি করে এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের ভুল পথে চালিত করতে পারে।
আগেও, বভের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে, অপর এক হুইসেলব্লোয়ার অভিযোগ করেছিলেন যে বোভ অভিবাসন বিষয়ক একটি মামলায় ফেডারেল বিচারপতিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।
বভের বিরুদ্ধে আসা এই অভিযোগগুলো তাঁর বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হুইসেলব্লোয়ার সিএনএনকে জানিয়েছেন, বোভের এমন আচরণ ফেডারেল আদালতের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, এমন একজন ব্যক্তির আজীবন বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বভের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বোভ একজন অত্যন্ত যোগ্য প্রার্থী এবং তিনি একজন চমৎকার বিচারক হবেন।
তবে, বভের অতীতের কিছু কর্মকাণ্ড বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একসময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন মামলাতেও তিনি আইনি সহায়তা করেছেন।
বভের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সিনেটে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করেছে। রিপাবলিকান সিনেটররা বভের মনোনয়নের পক্ষে রয়েছেন, যেখানে ডেমোক্র্যাটরা তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে, যেখানে ডেমোক্রেট সিনেটররা বভের মনোনয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
হুইসেলব্লোয়ারদের অভিযোগ এবং সিনেটের রাজনৈতিক বিভাজন— সব মিলিয়ে এমিল বোভের ফেডারেল বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সিনেটে তাঁর চূড়ান্ত ভোটের আগে, অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করা হবে কিনা, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন