আর্канসাসে হাইকিংয়ে যাওয়া দম্পতিকে খুন, অভিযুক্ত শিক্ষক!

আর্কানসাসের একটি রাজ্য পার্কে এক দম্পতির হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক এই দম্পতির ওপর হামলা করার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত দম্পতি তাদের দুই সন্তানের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন, সেই সময় এই ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্কানসাস রাজ্যের একটি জঙ্গলে ঘুরতে যাওয়া ৪৩ বছর বয়সী ক্লিন্টন ডেভিড ব্রিঙ্ক এবং তার ৪১ বছর বয়সী স্ত্রী ক্রিস্টেন আমান্ডা ব্রিঙ্ককে হত্যার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু জেমস ম্যাকগ্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ডেভিলস ডেন স্টেট পার্কে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর বুধবার স্প্রিংডেলের একটি সেলুন থেকে ম্যাকগ্যানকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ম্যাকগ্যানকে আটকের পর তিনি দ্রুতই হত্যার কথা স্বীকার করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত দম্পতির সাথে ম্যাকগ্যানের কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না। ঘটনার দিন তারা ওই পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা এখন এই হামলার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন।

আর্কানসাস রাজ্য পুলিশের কর্নেল মাইক হাগার জানান, ঘটনার দিন প্রথমে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর স্ত্রী তার সন্তানদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে যান। পরে তিনি ফিরে এসে স্বামীকে সাহায্য করতে গেলে তাঁকেও হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ৭ ও ৯ বছর বয়সী দুই শিশু অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে আছে।

আদালতে জমা দেওয়া তথ্যে প্রকাশ, ঘটনার সময়কার কিছু ছবি এবং ভিডিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এইগুলোর মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তির গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, ম্যাকগ্যানের ডিএনএ ঘটনাস্থলে পাওয়া রক্তের নমুনার সঙ্গে মিলে গেছে।

আর্কানসাসের বাইরে, ম্যাকগ্যান টেক্সাস এবং ওকলাহোমা রাজ্যেও শিক্ষকতা করেছেন। টেক্সাসের একটি স্কুলে ছাত্র-সংক্রান্ত কিছু অভিযোগের কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি এর আগে ওকলাহোমার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন এবং সম্প্রতি তিনি আর্কানসাসের একটি স্কুলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, তবে তার আগেই এই ঘটনা ঘটে।

নিহত দম্পতি সম্প্রতি সাউথ ডাকোটা থেকে আর্কানসাসে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। ক্লিন্টন ব্রিঙ্ক নামের ওই ব্যক্তি সোমবার থেকে দুধ সরবরাহকারীর কাজ শুরু করার কথা ছিল। ক্রিস্টেন ব্রিঙ্ক মন্টানা ও সাউথ ডাকোটায় নার্স হিসেবে কাজ করতেন। নিহত দম্পতির পরিবার জানিয়েছে, তাদের মেয়েদের বাঁচাতে গিয়ে তাঁরা জীবন দিয়েছেন।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *