খরচ বাঁচানোর উপায়: ঘর ও স্বাস্থ্যের জন্য সাশ্রয়ী পরিকল্পনা।
বর্তমান বাজারে জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছে, তাই প্রতিটি পরিবারই চায় তাদের সীমিত আয়ের মধ্যে কীভাবে খরচ বাঁচানো যায়।
ঘর ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু জরুরি জিনিসপত্রের খরচ কমানোর কিছু উপায় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. বাজেট তৈরি করুন ও লক্ষ্য স্থির করুন:
প্রথমেই একটি বাজেট তৈরি করা উচিত। পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচগুলো চিহ্নিত করে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয় তার হিসাব রাখতে হবে।
এরপর, কোন খাতে খরচ কমানো যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন – মুদিখানার বাজার, স্বাস্থ্য বিষয়ক খরচ, বিদ্যুতের বিল ইত্যাদি।
২. মুদিখানার বাজারে সাশ্রয়:
মুদিখানার বাজার একটি বিশাল খরচ। এখানে কিছু কৌশল অবলম্বন করে খরচ কমানো যেতে পারে:
- অফার ও ডিসকাউন্ট: বিভিন্ন দোকানে প্রায়ই অফার ও ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। এইসব অফার ও ডিসকাউন্টের সুবিধা নিলে খরচ কমানো সম্ভব।
- বাকি থাকা পণ্য: অনেক সময় দোকানে কিছু খাদ্যদ্রব্য থাকে যা হয়তো মেয়াদ উত্তীর্ণের কাছাকাছি, কিন্তু এখনো ব্যবহারের উপযুক্ত। এই ধরনের পণ্য কম দামে পাওয়া যায়।
- একসাথে কেনাকাটা: চাল, ডাল, তেল, মশলা – এই ধরনের জিনিসগুলো একসাথে কিনলে দাম কমে আসে। যেমন, প্রতি সপ্তাহে ছোট প্যাকেজ কেনার পরিবর্তে, একবারে বড় একটি প্যাকেট কিনলে খরচ কম হয়।
৩. খাবার খরচ কমানোর উপায়:
- পরিকল্পনা মাফিক রান্না করুন: খাবার অপচয় রোধ করতে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রান্না করা উচিত। সপ্তাহের মেনু তৈরি করে, সেই অনুযায়ী বাজার করলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কেনার সম্ভাবনা কমে যায়।
- রান্নার উপকরণ: রান্নার উপকরণ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, কোন জিনিসগুলো প্রায়ই ব্যবহার করা হয় এবং সেগুলোর দাম কোথায় কম। স্থানীয় বাজার অথবা সুপার মার্কেটগুলোতে দামের তুলনা করে কেনাকাটা করা যেতে পারে।
- বাকি খাবার সংরক্ষণ করুন: রান্না করা খাবার নষ্ট না করে, ফ্রিজে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. ঔষধ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক খরচ কমানোর উপায়:
- জেনেরিক ওষুধ: ব্র্যান্ডেড ঔষধের পরিবর্তে জেনেরিক ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। জেনেরিক ঔষধ একই উপাদানে তৈরি হয়, তবে দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকে।
- ডিসকাউন্ট ও কুপন: ঔষধের দোকানগুলোতে প্রায়ই ডিসকাউন্ট ও কুপন পাওয়া যায়। এছাড়া, বিভিন্ন স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানির মাধ্যমেও ঔষধের খরচ কমানো যেতে পারে।
৫. অন্যান্য খরচ কমানোর উপায়:
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সরঞ্জাম: পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সময়, ভালো করে দাম যাচাই করুন। একসাথে বেশি পরিমাণে কিনলে অনেক সময় দাম কমে আসে।
- গৃহস্থালীর অন্যান্য জিনিস: আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট ইত্যাদি কেনার জন্য বিশেষ অফারের দিকে নজর রাখতে পারেন। ঈদ, পূজা বা বিভিন্ন উৎসবে এইসব জিনিসের ওপর বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়।
৬. মূল বিষয়:
খরচ বাঁচানোর মূল মন্ত্র হলো, পরিকল্পনা ও সচেতনতা। প্রতিটি জিনিস কেনার আগে, ভালোভাবে যাচাই করুন এবং তুলনা করুন। ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো আপনার পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন