কলোরেক্টাল ক্যান্সার: কঠিন অভিজ্ঞতার কথা জানালেন জেমস ভ্যান ডের বীক!

শিরোনাম: ক্যান্সার জয় করে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন হলিউড অভিনেতা জেমস ভ্যান ডের বীক: সময় মতো পরীক্ষা করানোর গুরুত্ব

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জেমস ভ্যান ডের বীক, যিনি ‘ডসন’স ক্রিক’ টিভি সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৪৬ বছর বয়সে রোগটি ধরা পড়ার পর তিনি এখন মানুষকে সময় মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে সচেতন করছেন।

বিশেষ করে, যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, তাদের জন্য কোলন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বাড়ছে অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের প্রবণতা। ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে যেখানে প্রতি ১ লাখে ৪.৮ জন এই রোগে আক্রান্ত হতেন, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১ জনে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই হার যদি এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই, ক্যান্সার শনাক্তকরণে প্রাথমিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

জেমস ভ্যান ডের বীকের ক্যান্সার ধরা পড়ার কারণ ছিল সামান্য কিছু শারীরিক পরিবর্তন। তিনি জানান, তেমন কোনো গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়নি।

কিন্তু নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি কোলনোস্কোপি করান, যার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। ক্যান্সার নির্ণয়ের পর তিনি সুস্থ জীবনযাপনের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন।

ক্যান্সার একটি জটিল রোগ, যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। জেমস ভ্যান ডের বীক তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, “আমি উপলব্ধি করেছি, একা এই লড়াই করা কঠিন।

বন্ধু এবং পরিবারের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।”

কোলন ক্যান্সার শনাক্ত করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো কোলনোস্কোপি, যেখানে একটি সরু নলের মাধ্যমে কোলন এবং মলাশয় পরীক্ষা করা হয়।

এছাড়া, মল পরীক্ষার মাধ্যমেও ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। সম্প্রতি, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেও কোলন ক্যান্সার শনাক্ত করা যাচ্ছে, যা অপেক্ষাকৃত সহজ এবং দ্রুত।

জেমস ভ্যান ডের বীক মনে করেন, রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “কোলন ক্যান্সার সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা ছিল না।

এমনকি, স্ক্রিনিংয়ের বয়স যে কমিয়ে ৪৫ করা হয়েছে, সেটিও আমার জানা ছিল না।” তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, কোনো উপসর্গ দেখা না দিলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

বাংলাদেশেও ক্যান্সার একটি উদ্বেগের কারণ। এখানে সচেতনতার অভাব এবং রোগ শনাক্তকরণে দেরির কারণে অনেক রোগী সঠিক সময়ে চিকিৎসা পান না।

তাই, সময় মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি।

যদি আপনার বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি হয়, অথবা আপনার পরিবারের কারও ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ নিন।

তথ্য সূত্র: হেলথলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *