মার্কিন ঘাঁটিতে গোলাগুলি: ভেতরের হুমকি কতটা ভয়ঙ্কর?

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এক সৈনিকের গুলিতে কয়েকজন সেনা সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জর্জিয়ার ফোর্ট স্টুয়ার্ট ঘাঁটিতে বুধবার (তারিখ উল্লেখ করা যেতে পারে) এই ঘটনা ঘটে, যেখানে সেনাবাহিনীর ৩য় পদাতিক ডিভিশনের প্রায় ২০,০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

জানা গেছে, ২৯ বছর বয়সী কুইর্নেলিয়াস সামেনট্রিয়ো র‍্যাডফোর্ড নামের এক সার্জেন্ট তার ব্যক্তিগত অস্ত্র বের করে গুলি চালান। এতে পাঁচজন সেনা সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

ঘটনার পরপরই ঘাঁটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং হামলাকারীকে আটক করা হয়।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরের হুমকি থেকে সুরক্ষার জন্য সামরিক ঘাঁটিগুলো সুসংগঠিত থাকলেও, ভেতরের হুমকি মোকাবিলা করা কঠিন। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০০৯ সালে টেক্সাসের ফোর্ট হুড ঘাঁটিতে এক সেনা কর্মকর্তার গুলিতে ১৩ জন নিহত হয়েছিল।

আহত সেনাদের সহকর্মীরা সাহসিকতার সাথে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

ঘটনার পর, সামরিক কর্মকর্তারা ঘাঁটির নিরাপত্তা প্রোটোকল পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, র‍্যাডফোর্ডের সাথে মঙ্গলবার এক সহকর্মীর সামান্য বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। এর জের ধরেই সে এই হামলা চালায়।

তবে, হামলার মূল কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। র‍্যাডফোর্ডকে এর আগে একবার মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ঘটনার কয়েক মিনিট আগে র‍্যাডফোর্ড তার পরিবারের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল, যেখানে সে লিখেছিল, ‘আমি তোমাদের ভালোবাসি’। র‍্যাডফোর্ডের বাবা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তার ছেলের মধ্যে অস্বাভাবিক কোনো আচরণ তিনি লক্ষ্য করেননি।

তবে, র‍্যাডফোর্ড এর আগে ঘাঁটিতে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এবং বদলির আবেদন করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের ঘাঁটিগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চালায়। এর মধ্যে রয়েছে, বন্দুকধারীর আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি মোকাবিলা করার কৌশল।

ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করার কথা ভাবা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *