সিনেট দখলের লড়াই: ডেমোক্রেটদের রুখতে ক্ষমতার অপব্যবহার, তোলপাড় টেক্সাসে

টেক্সাসের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। রাজ্যের কংগ্রেসের আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে বিতর্কের জেরে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছেন, যার ফলস্বরূপ আইনসভায় কোরাম পূরণ করা যাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে, রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, বিশেষ করে অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন এবং সিনেটর জন কর্নিন, তাদের সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

আসন পুনর্বিন্যাস বা ‘রেডিস্ট্রিক্টিং’ একটি প্রক্রিয়া, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সুবিধামতো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নতুন করে তৈরি করে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে চায়।

টেক্সাসেও একই ঘটনা ঘটছে, যেখানে রিপাবলিকানরা তাদের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের আসন বিন্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। ডেমোক্র্যাটরা এর বিরোধিতা করছেন, কারণ তারা মনে করেন, এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকারের পরিপন্থী।

পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন। তিনি টেক্সাসের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন, পলাতক ১৩ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাকে তাদের পদ থেকে অপসারণের জন্য।

প্যাক্সটনের যুক্তি হলো, এই আইনপ্রণেতারা তাদের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, সিনেটর জন কর্নিন এই ঘটনার তদন্তের জন্য ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (এফবিআই) অনুরোধ করেছেন।

ডেমোক্র্যাটদের অনুপস্থিতির কারণে টেক্সাস হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের অধিবেশন স্থগিত রয়েছে। রিপাবলিকানরা এই অচলাবস্থা কাটাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

টেক্সাস হাউজের স্পিকার ডাস্টিন বারোস জানিয়েছেন, তিনি পলাতক সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে, তাদের মাসিক বাজেট থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করা এবং তাদের ব্যক্তিগতভাবে অফিসে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন অনুমোদনের জন্য আবেদন করা বাধ্যতামূলক করা।

ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছেন, তারা এই পরিস্থিতিতে হার মানতে রাজি নন। তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছেন এবং বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি, এই আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।

এই ঘটনার জেরে টেক্সাসের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা আগামী দিনের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *