ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের চূড়ান্ত প্রস্তুতি: আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ?

## ট্রাম্প-পুতিনের সম্ভাব্য আলাস্কা বৈঠক: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে কতদূর?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলাস্কায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবারের এই শীর্ষ সম্মেলনটি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হতে যাচ্ছে।

বৈঠকের আগে উভয় পক্ষই আলোচনার বিষয়গুলি চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই, যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেও এর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয় হল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সম্ভাব্য ভূমি ছাড় দেওয়া এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

তবে এখনো পর্যন্ত বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত হয়নি।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ট্রাম্প এই বৈঠকটিকে দ্রুততার সঙ্গে আয়োজন করতে আগ্রহী ছিলেন। সাধারণত, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজনে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লেগে যায়।

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আসন্ন শুক্রবারের বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যাবে পুতিন এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ করতে কতটা আগ্রহী।”

তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এই বৈঠকের বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

তাদের মতে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই ইউক্রেনকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারা এটাও মনে করে যে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স ইউরোপীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।

সেখানে তিনি ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন। ইউরোপীয় নেতারা এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আলোচনার শর্ত সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন।

আলাস্কার এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে কতটা সফল হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

তবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এর ফলাফল বিশ্ব শান্তির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *