ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত: ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় হতাহত, শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা কতটুকু?
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নতুন মোড়। সম্প্রতি, রাশিয়ার নিজনি নভগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই ঘটনার মধ্যে, আসন্ন একটি শীর্ষ সম্মেলন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার কথা রয়েছে।
এই শীর্ষ সম্মেলনে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ড্রোন হামলা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজনি নভগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, ড্রোনগুলো শিল্পাঞ্চলে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে তারা ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশে ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে মূল বিষয় হবে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং এর সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলো বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেগুলো ধরে রাখতে চাইছেন এবং একইসঙ্গে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কোনো অঞ্চল দখলের স্বীকৃতি দিতে এবং ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসতে রাজি নন।
বর্তমানে, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বেশ জটিল। ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখতে চেষ্টা করছে, কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সমাধান এখনো দৃশ্যমান নয়।
ইউক্রেনের সেনারা মনে করেন, হয়তো কিছুদিনের জন্য যুদ্ধ বিরতি আসতে পারে, তবে রাশিয়ার আক্রমণ পুনরায় শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন এই শীর্ষ সম্মেলনের দিকে। এই আলোচনার ফলাফল একদিকে যেমন ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করবে, তেমনি বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
বিশেষ করে, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: