ভয়ংকর গরম: কোথায় কতটা বাড়ছে বিপদ? এখনই সতর্ক হন!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরমের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে জনসাধারণের জন্য। গরমের এই তীব্রতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে উষ্ণতা, যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনে।

আমাদের দেশ, বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) যৌথভাবে গরমের ঝুঁকি বিষয়ক পূর্বাভাস তৈরি করছে। এই পূর্বাভাসে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বাতাসের গতিসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়।

এর মাধ্যমে কোথায় কতটুকু গরম অনুভূত হবে, সেই ধারণা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, অতীতের তথ্যের ভিত্তিতে এই পূর্বাভাসে মৃত্যুর মতো ঘটনার সম্ভাবনাও পর্যালোচনা করা হয়।

গরমের তীব্রতা ও সময়কালের ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাসগুলি তৈরি করা হয়, যা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালে প্রায়ই দেখা যায়, তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর ফলে জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং হিট-স্ট্রোকের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে, প্রায় ৬ কোটির বেশি মানুষ এই ধরনের চরম আবহাওয়ার শিকার হয়েছিলেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বছরও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমের তীব্রতা একই রকম থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরমের এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ এখন আরও বেশি সাধারণ, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

রাতের বেলাতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে না, যা মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে আনে না। এর ফলস্বরূপ, তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙার ঘটনাও বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর প্রতিদিন সম্ভাব্য রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেয়। এর পাশাপাশি, আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্রার পূর্বাভাসও তারা দিয়ে থাকে।

এই পূর্বাভাসগুলো তৈরি করতে তারা বিভিন্ন ডেটা ব্যবহার করে, যা সাধারণ মানুষকে গরম থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশেও গরম বাড়ছে।

এর ফলে কৃষিকাজ, পানির সংকট এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই, গরম থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

একইসাথে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার, যাতে আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *