আমেরিকায় ফিরছে GE-র উৎপাদন: নতুন বিনিয়োগে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা!

**যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনিয়োগ, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে GE Appliances**

ঢাকা, [আজকের তারিখ]। বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে জেনারেল ইলেক্ট্রিক (GE) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান GE Appliances, তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

এই বিনিয়োগের ফলে প্রতিষ্ঠানটি চীন ও মেক্সিকো থেকে রেফ্রিজারেটর, গ্যাস রেঞ্জ এবং ওয়াটার হিটারের উৎপাদন সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে তাদের কারখানায় স্থানান্তরিত করবে।

এই বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা, যা কোম্পানিটির ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম, আগামী পাঁচ বছরে এক হাজারের বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

এর পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি, জর্জিয়া, আলাবামা, টেনেসি এবং সাউথ ক্যারোলিনার কারখানাগুলোতে আধুনিকীকরণের কাজ করা হবে।

খবর অনুযায়ী, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন নোলান জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হলো গ্রাহকদের কাছাকাছি উৎপাদন করা।

আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বয়ংক্রিয়তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করা এখন লাভজনক।

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়ানোর এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, গ্যাস রেঞ্জ তৈরির কারখানা মেক্সিকো থেকে জর্জিয়াতে এবং চীনে তৈরি হওয়া ছয়টি রেফ্রিজারেটরের মডেল আলাবামার একটি কারখানায় স্থানান্তরিত করা হবে।

এছাড়াও, জানা গেছে, গত জুনে কোম্পানিটি ঘোষণা করে যে তারা চীনের কারখানা থেকে ওয়াশিং মেশিনের উৎপাদন কেন্টাকির একটি বিশাল উৎপাদন কেন্দ্রে সরিয়ে নেবে।

এই বিনিয়োগের ফলে, GE Appliances ২০১৬ সাল থেকে তাদের ১১টি মার্কিন উৎপাদন কেন্দ্র এবং দেশব্যাপী সরবরাহ নেটওয়ার্কে প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

এই বিনিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে কোম্পানিটি প্রতি বছর ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবদান রাখবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান বজায় থাকবে।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার এই বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ প্রমাণ করে যে তার রাজ্য বিশ্বমানের কোম্পানিগুলোকে দক্ষ কর্মী এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহায়তা করতে সক্ষম।

বৈশ্বিক অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, GE Appliances-এর এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।

বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো উভয়ই বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে, স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন কৌশল এবং প্রযুক্তির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *