ডালাস কাউবয়স-এর মালিক, ৮২ বছর বয়সী জেরি জোনস, সম্প্রতি এক নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে তার শরীরে চতুর্থ স্তরের মেলানোমা ধরা পড়েছিল, যা এক ধরণের ত্বকের ক্যান্সার। খবরটি তিনি জানিয়েছেন নেটফ্লিক্সের একটি নতুন তথ্যচিত্রের মাধ্যমে, যার নাম ‘আমেরিকা’স টিম: দ্য গ্যাম্বলার অ্যান্ড হিজ কাউবয়স’।
২০০৯ সালের জুন মাসে জেরি জোনসের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। এরপর তিনি ফুসফুস এবং লিম্ফ নোডে অস্ত্রোপচার করান।
চিকিৎসকেরা জানান, ক্যান্সারের কোষগুলো শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে গিয়েছিল। তবে, সৌভাগ্যবশত, তিনি একটি পরীক্ষামূলক চিকিৎসার সুযোগ পান, যা ছিল ‘পিডি-১ থেরাপি’।
জোনস জানিয়েছেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনি সফল হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই থেরাপি সত্যিই কাজ করেছে এবং এখন তিনি সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
জেরি জোনসের এই সাহসী পদক্ষেপ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তার এই লড়াইয়ের কথা শুনে ডালাস কাউবয়সের কোচ ব্রায়ান স্কটেনহাইমারও তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, জেরি জোনসের এই ক্যান্সার জয়ের গল্প মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শেখাবে এবং অন্যদেরও এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহস যোগাবে। ব্রায়ান স্কটেনহাইমার নিজেও অতীতে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ক্যান্সার একটি ভীতিকর রোগ, যা কারও সাথেই কোনো ভেদাভেদ করে না। ব্রায়ান স্কটেনহাইমার জানান, তিনি যখন থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
ক্যান্সারের কথা শুনলে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেরি জোনসের ক্যান্সার জয় সেই কথাই প্রমাণ করে।
ক্যান্সার চিকিৎসার অগ্রগতি বর্তমানে অনেক দূর এগিয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত ও তার প্রতিকার করা সম্ভব। জেরি জোনসের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন