ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার সম্পর্ক গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
প্রথম সাক্ষাতের আট বছর পর, তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিবর্তন এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ট্রাম্প প্রশাসনের উপর নানা চাপ সৃষ্টি হয়, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তোলে।
যদিও ট্রাম্প, পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী ছিলেন, তবে নির্বাচনের অভিযোগগুলো উভয় নেতার মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি করে।
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে তাদের প্রথম সাক্ষাত হয়। এরপর ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ট্রাম্প ও পুতিন-এর মধ্যে আলোচনা হয়, যেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আবারও আলোচনায় আসে।
এই বৈঠকের পর ট্রাম্পের মন্তব্য বেশ সমালোচিত হয়েছিল, কারণ তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখিয়েছিলেন।
জাপানে ২০১৯ সালের বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন উভয় নেতাই তাদের সম্পর্ককে আরও ভালো করার আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেই সম্পর্ক এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
ট্রাম্প একসময় এই যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখালেও, বর্তমানে পুতিনের উপর তার আস্থা কমেছে। তিনি সম্প্রতি পুতিনের সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে তিনি অনেক ‘বাজে কথা’ শুনেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক এখন আগের মতো নেই। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দুর্বল হয়েছে, যা বিশ্ব মঞ্চে পুতিনের প্রভাব কমিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ইউক্রেন বিষয়ক রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট মনে করেন, ট্রাম্প সম্ভবত এখন বুঝতে পেরেছেন যে পুতিনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখা কঠিন।
এই প্রেক্ষাপটে, আলাস্কায় তাদের সম্ভাব্য বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
বর্তমানে, ট্রাম্প এবং পুতিনের সম্পর্ক অতীতের তুলনায় অনেক জটিল। তাদের মধ্যেকার আলোচনা এবং সিদ্ধান্তগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন