আটলান্টা ফ্যালকন্স দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, ওয়াইড রিসিভার ড্রেক লন্ডন এবং সেফটি জেসি বেটস থ্রি, মাঠের খেলায় নিজেদের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছেন। তাদের মতে, মাঠের খেলায় তারা যেন অন্য মানুষে পরিণত হন, যাদের আগ্রাসী মনোভাবই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
খেলার সময় তারা ‘অল্টার ইগো’ বা দ্বিতীয় সত্তার আশ্রয় নেন, যা তাদের প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সাহায্য করে।
আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর হলো ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (NFL)। সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
এই লীগেরই একটি দল আটলান্টা ফ্যালকন্স। সম্প্রতি ফ্যালকন্সের খেলোয়াড়দের খেলার ধরন নিয়ে আলোচনা চলছে।
ড্রেক লন্ডন মাঠের বাইরে অত্যন্ত শান্ত ও হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বদলে যান।
তার মধ্যে জেগে ওঠে এক ভিন্ন সত্তা, যিনি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং শারীরিক শক্তিতে বলীয়ান। এই পরিবর্তনই তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
গত বছর তিনি এক দারুণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন, যেখানে ১০০টি ক্যাচ ধরে ১,২৭০ গজ দৌড়েছেন এবং ৯টি টাচডাউন করেছেন। ফ্যালকন্সের জেনারেল ম্যানেজার টেরি ফন্টেনট এই বিষয়ে বলেন, “ড্রেক মাঠের খেলায় অপ্রতিরোধ্য।
খেলার সময় তিনি এতটাই মনোযোগী থাকেন যে, প্রতিপক্ষকে হারানোর জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত।”
জেসি বেটস থ্রি, যিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সেফটি, তিনিও খেলার সময় নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনেন।
মাঠের খেলায় তিনি ‘জেবি থ্রি’ নামে পরিচিত হন। বেটস মনে করেন, ভালো খেলার জন্য এই ধরনের মানসিকতা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, “মাঠের খেলায় একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যরকম একটা সত্তা থাকতে হয়, যা তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।” বেটসের এই ‘জেবি থ্রি’ সত্তা ফ্যালকন্সের প্রতিরক্ষা বিভাগে দারুণ প্রভাব ফেলেছে।
গত বছর তিনি ফোর্স্ট ফাম্বলে চতুর্থ এবং ইন্টারসেপশনে দশম স্থানে ছিলেন।
ফ্যালকন্সের ডিফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর জেফ উলব্রিখ মনে করেন, খেলোয়াড়দের এই ধরনের মানসিকতা থাকাটা খুব দরকার।
তিনি বলেন, “মাঠে নামার পর খেলোয়াড়দের এমন আগ্রাসী হতে হয়, যা স্বাভাবিক মানুষের থেকে ভিন্ন।”
আগামী শুক্রবার আটলান্টা ফ্যালকন্স এবং টেনিসি টাইটানসের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ম্যাচে ফ্যালকন্সের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করা হচ্ছে। কারণ তারা ভালো ফল করার জন্য প্রস্তুত।
ফ্যালকন্স দল ২০১৩ সালের পর থেকে প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। তাই এবারের মৌসুমে ভালো ফল করার জন্য তারা মুখিয়ে আছে।
তথ্য সূত্র: CNN