অবিশ্বাস্য! কম বাজেটের দল, যাদের নেই তারকা, তারাই এখন শীর্ষে!

মিলওকি ব্রুয়ার্স: অল্প বাজেটে সাফল্যের এক অসাধারণ গল্প

বেসবলের দুনিয়ায়, যেখানে বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রায়ই সাফল্যের চাবিকাঠি, সেখানে একটি দল প্রমাণ করেছে যে, বুদ্ধিমত্তা ও দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমেও সেরা হওয়া যায়। মেজর লিগ বেসবলের (MLB) দল মিলওকি ব্রুয়ার্স বর্তমানে সেই সাফল্যের গল্পই শোনাচ্ছে।

তাদের খেলোয়াড়দের অনেকেরই তেমন পরিচিতি নেই, তার ওপর তাদের দল চালানোর খরচ অন্যান্য বড় দলগুলোর তুলনায় অনেক কম। লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের মতো দলের থেকে তারা প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ অর্থ খরচ করে।

যেখানে ডজার্সের মতো দলের খেলোয়াড় কেনার জন্য বিশাল বাজেট রয়েছে, সেখানে ব্রুয়ার্স যেন এক ব্যতিক্রম।

কিন্তু মাঠের পারফর্ম্যান্সে তারা অন্য দলগুলোর থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। বরং, তারাই এখন MLB-এর সবচেয়ে আলোচিত দল।

টানা ১৪টি ম্যাচে জয়লাভ করে তারা নিজেদের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাদের দৃঢ় মনোবল এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের অবদান।

মিলওকি ব্রুয়ার্সের এই সাফল্যের মূল কারণ হলো তাদের খেলোয়াড় বাছাইয়ের অভিনব কৌশল। দলের ম্যানেজার, যিনি খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবসময় ভিন্ন চিন্তা করেন।

তাঁর মতে, দলের সবাই-ই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, “আমরা বেশি অর্থ খরচ করি না, খেলোয়াড় কেনার জন্য বড় চুক্তি করি না। আমরা বরং যাদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখি, তাদের সুযোগ দিই।

ব্রুয়ার্সের এই নীতির কারণেই হয়তো তারা ভালো খেলছে।

উদাহরণস্বরূপ, এন্ড্রু ভন-এর কথা বলা যায়। ২০১৯ সালের ড্রাফটে তিনি ৩ নম্বরে ছিলেন, কিন্তু শিকাগো হোয়াইট সক্সে তেমন ভালো করতে পারেননি।

এরপর তিনি ব্রুয়ার্সে যোগ দেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। কুইন প্রিস্টারের মতো খেলোয়াড়, শুরুতে যাঁর খেলা তেমন ভালো ছিল না, তিনিও এখন দলের নির্ভরযোগ্য বোলার।

এছাড়া, আইজ্যাক কলিন্স-এর মতো তরুণ খেলোয়াড়ও রয়েছেন, যিনি এই মৌসুমে দারুণ খেলছেন। কলিন্সের অন-বেস পার্সেন্টেজ লিগের মধ্যে ১১তম স্থানে রয়েছে এবং সম্ভবত তিনিই বর্ষসেরা নবাগত খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিততে পারেন।

ব্রুয়ার্সের এই সাফল্যের পেছনে তরুণ খেলোয়াড়দের অবদানও অনেক। তারা বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে, যারা নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া।

তাদের ব্যাটিং লাইনআপে তরুণ খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বেশি। ২১ বছর বয়সী তরুণ খেলোয়াড় জ্যাকসন চোরিও গত বছর ২০-২০ পারফর্ম করেছেন।

এছাড়া, তরুণ বোলার জ্যাকব মিসিওরোওস্কি-র ফাস্ট বলের গতি ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

মিলওকি ব্রুয়ার্সের এই সাফল্যের গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তারা প্রমাণ করেছে, শুধু বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করলেই সাফল্য আসে না, বরং প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা এবং দলগত প্রচেষ্টা।

তাদের এই জয়যাত্রা হয়তো আরও অনেক দূর যাবে, যা বেসবলের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *