পেশাদার বেসবল জগতে, খেলোয়াড়দের দক্ষতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনেক সময় তাদের জয়ের পরিসংখ্যানকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে, এই ধারণাটি সবসময় সঠিক নাও হতে পারে, বিশেষ করে যখন একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সাফল্যের পেছনে দলের পারফরম্যান্সের অভাব থাকে।
এমন একজন খেলোয়াড় হলেন পিটসবার্গ পাইরেটসের তরুণ বোলার পল স্কেইনস।
স্কেইনস বর্তমানে অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। তার বল করার গড় রান (ERA) ২.১৬, যা মেজর লিগে সেরা।
এছাড়াও, তিনি ইনিংস খেলা, স্ট্রাইক এবং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কম রান করতে দেওয়ার দিক থেকেও শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। পরিসংখ্যানের বিচারে, স্কেইনস সাই ইয়ং পুরস্কারের একজন যোগ্য দাবিদার। এই পুরস্কারটি বেসবলের সেরা বোলারকে দেওয়া হয়।
কিন্তু খেলার মাঠে স্কেইনসের সাফল্যের প্রতিফলন তার জয়-পরাজয়ের রেকর্ডে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। মৌসুমের মাঝপথে তার জয়-পরাজয়ের হিসাব ৭-৯।
এর কারণ হলো, তার দল, পিটসবার্গ পাইরেটস, ব্যাটিং এবং অন্যান্য বিভাগে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারছে না। ফলে স্কেইনসের অসাধারণ বোলিং সত্ত্বেও দল অনেক ম্যাচেই জিততে ব্যর্থ হচ্ছে।
সম্প্রতি টরন্টোর বিপক্ষে একটি খেলায় স্কেইনস ভালো বল করেন, কিন্তু তার দল জয় পায় ৫-২ ব্যবধানে।
তিনি ৬ ইনিংসে ৮ জন খেলোয়াড়কে আউট করেন এবং মাত্র ৫টি রান দেন। এই ম্যাচে তার দল জিতলেও, স্কেইনসকে ‘নো-ডিসিশন’–এর শিকার হতে হয়, অর্থাৎ তার ব্যক্তিগত স্কোরকার্ডে কোনো জয় যুক্ত হয়নি।
এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
এই পরিস্থিতি ‘পিচার উইন’ বা একজন বোলারের জয়ের সংখ্যাকে তার মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহারের ধারণা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষক মনে করেন, একজন বোলারের দক্ষতার মূল্যায়ন শুধু তার জয়ের সংখ্যার ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। স্কেইনস নিজেও এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
তিনি বলেন দলের জয়ই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
স্কেইনস খেলাটির প্রক্রিয়া এবং নিজের প্রস্তুতি নিয়ে মনোযোগী। কিভাবে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা যায়, কিভাবে ভ্রমণের সময় খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা যায়, এইসব ছোট ছোট বিষয়গুলো তিনি নিয়মিত অনুসরণ করেন।
তিনি মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে ভালো করতে হলে এই বিষয়গুলোর প্রতি যত্ন নেওয়া অপরিহার্য।
পল স্কেইনসের এই উদাহরণ বেসবলসহ সকল খেলার জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—উভয়ই সাফল্যের জন্য জরুরি। খেলোয়াড়দের উচিত তাদের খেলার উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া, পাশাপাশি দলের জয়ে অবদান রাখা।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।