টেক্সাসে কংগ্রেসনাল মানচিত্র পরিবর্তনের পথে, ট্রাম্পের সমর্থন!

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টি এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে কংগ্রেসনাল আসন বিন্যাস নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। টেক্সাসের রিপাবলিকানরা নতুন করে এমন একটি মানচিত্র তৈরি করতে চাইছে যা তাদের দলের জন্য সুবিধা নিয়ে আসবে, অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেটরা এর মোকাবিলায় নিজেদের অনুকূলে আসন সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে উভয় দলের রাজনৈতিক কৌশল এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের নানা দিক প্রকাশ্যে আসছে।

টেক্সাসে, ডেমোক্রেটদের ১৫ দিনের ওয়াকআউটের পর, রিপাবলিকানরা এখন তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মানচিত্র তৈরি হলে রিপাবলিকানদের জন্য আরও পাঁচটি আসন বাড়বে। তবে, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট দ্বিতীয় বিশেষ অধিবেশন ডেকে ডেমোক্রেটদের চাপে রাখতে চাইছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও টেক্সাসের রিপাবলিকানদের এই পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটরা তাদের রাজ্যের কংগ্রেসনাল আসন বিন্যাসের জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনী প্রস্তাব করেছেন। এর মাধ্যমে তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাজ্যের আসনগুলির বিন্যাস পরিবর্তন করতে চাইছে। ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে তারা অন্তত পাঁচটি নতুন ডেমোক্রেট-পন্থী জেলার সৃষ্টি করতে পারবে। ক্যালিফোর্নিয়ার নেতারা এই পদক্ষেপকে টেক্সাসের সিদ্ধান্তের জবাব এবং ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দেখছেন।

উভয় রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই আসন বিন্যাস নিয়ে বিতর্কের মূল কারণ হল ‘গেরিম্যান্ডারিং’ বা দলীয় স্বার্থে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে একটি দল নির্বাচনে বেশি সুবিধা পেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান নেতারা অবশ্য এই ধরনের ‘গেরিম্যান্ডারিং’-এর তীব্র বিরোধিতা করছেন। তারা একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন, যা দল নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে।

টেক্সাসের হাউস স্পিকার ডাস্টিন বারোস, ওয়াকআউট করা ডেমোক্রেটদের পুনরায় অধিবেশনে যোগ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে তারা রাজ্যের রাজনৈতিক কাঠামোতে আরও শক্তিশালী অবস্থানে আসতে পারবে। এই দুই রাজ্যের রাজনৈতিক ঘটনাক্রম এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *