মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানসিক সুস্থতা নিয়ে রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন একটি তদন্ত নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটির শুনানিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন সাবেক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা ইয়ান স্যামস।
এই কমিটি বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে ‘গোপন করার’ অভিযোগের তদন্ত করছে। খবরটি প্রকাশ করেছে সিএনএন।
কমিটি জানাচ্ছে, তারা বাইডেন প্রশাসনের ‘ব্যাপক ক্ষমা ঘোষণা’ এবং অন্যান্য নির্বাহী পদক্ষেপের ‘অনুমোদনহীনতার’ বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
ইয়ান স্যামস, যিনি আগে প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং হোয়াইট হাউস কাউন্সেলের অফিসে সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন, স্বেচ্ছায় এই শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। পরবর্তীতে তিনি কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণাতেও কাজ করেছেন।
এর আগে, বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. কেভিন ও’কনরসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী শুনানিতে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং মার্কিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী ব্যবহার করেন।
তবে, বাইডেনের প্রাক্তন সহযোগী এবং উপদেষ্টারা প্রেসিডেন্টের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। সাবেক উপদেষ্টা ও যোগাযোগ বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা অনিতা ড্যান সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি দেখেছি প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার মেয়াদে শারীরিকভাবে বৃদ্ধ হয়েছেন, যা সকল প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেই ঘটে।
তবে তার কাজের ধরন, নির্দেশনা এবং তদারকিতে কোনো পরিবর্তন দেখিনি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এমন কোনো ঘটনা দেখিনি যেখানে হোয়াইট হাউসের কর্মীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সম্মতি বা তার জানা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
অন্যদিকে, বাইডেনের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ রিচেত্তি সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি এই তদন্তে সহযোগিতা করছেন, কারণ তিনি বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা মিথ্যা অভিযোগের জোরালো প্রতিবাদ করতে চান।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ধরনের খারাপ ষড়যন্ত্র ছিল না। এমনকি প্রেসিডেন্টের মানসিক অবস্থা নিয়ে কিছু গোপন করারও কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’
গত মাসে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাইডেনের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রন ক্লেইন কমিটির কাছে জানিয়েছেন, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাইডেনের পুনঃনির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
এ বিষয়ে ইয়ান স্যামসের মন্তব্য জানতে চাইলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন