ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির শর্তের বিষয়ে কিছু ছাড় দিতে রাজি আছেন। তবে এর বিনিময়ে তিনি ইউক্রেনের জন্য কিছু নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি এই কথা জানান।
অন্যদিকে, মস্কো- কিয়েভ শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনাকে এখনো পর্যন্ত তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনার জন্য তারা এখনো প্রস্তুত, তবে আলোচনার স্তর বাড়ানোর বিষয়ে তাদের কিছু বলার নেই।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কাঠামো তৈরি হওয়ার পরেই তিনি ক্রেমলিনের সঙ্গে আলোচনার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে চান। তার মতে, আলোচনার আগে নিরাপত্তা বিষয়ক নিশ্চয়তাগুলো অত্যন্ত জরুরি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পরে জেলেনস্কি এই বিষয়ে নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্প আলোচনার মাধ্যমে শান্তি চুক্তির পক্ষে মত দিয়েছিলেন, যেখানে ইউক্রেন প্রথমে যুদ্ধবিরতি চাইছে।
জেলেনস্কি বলেন, প্রস্তাবিত কাঠামোতে কিছু ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে বলেছিলেন, যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে হলে তাদের অবশ্যই আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বুধবার জানান, ক্রেমলিন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক করতে রাজি আছে, তবে শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ল্যাভরভ বলেন, সরাসরি রুশ-ইউক্রেনীয় আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত রাশিয়া।
ইস্তাম্বুলে এর আগে হওয়া আলোচনায় দুই পক্ষ বন্দী বিনিময় করতে রাজি হয়েছিল, তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ল্যাভরভ আরও বলেন, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা ‘একটি ইউটোপিয়া এবং এটি কোনো ফল দেবে না’।
অন্যদিকে, ইউক্রেন এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার প্রস্তাবের কোনো জবাব দেয়নি। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন