মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল খেলোয়াড় মালিক বীকসলিকে নিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগের তদন্তে নতুন মোড়। সম্প্রতি জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্তকারীরা এখন আর তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন না।
বীকসলির আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
জাতীয় বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর এই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে তার ক্যারিয়ারে যে প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। বীকসলি গত বছর ডেট্রয়েট পিস্তনের সঙ্গে এক বছরের জন্য ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।
বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৬৯ কোটি টাকার সমান। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি এখন একজন ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে পরিচিত।
অর্থাৎ, তিনি এখন যেকোনো দলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন।
তবে, জুয়া খেলার অভিযোগ ওঠায় বীকসলির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় আদালতের সঙ্গে তাদের একাধিকবার কথা হয়েছে।
আইনজীবীরা আরও উল্লেখ করেছেন, বীকসলির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, অভিযোগনামা বা রায় না থাকা সত্ত্বেও, এই ঘটনার কারণে তার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
এর আগে, এনবিএ-এর আরেক খেলোয়াড় জোনটে পোর্টারকে জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই ঘটনার ১৪ মাস পরেই বীকসলির নাম আসে।
বীকসলির ঘটনাটি এমন এক সময়ে সামনে আসে, যখন তিনি একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। গত মৌসুমে তিনি প্লে-অফ খেলা একটি দলের হয়ে খেলেছেন এবং ৩০০টির বেশি থ্রি-পয়েন্টার (৩১৯টি) করেছেন।
সেই মৌসুমে তার গড় স্কোর ছিল ১৬.৩ পয়েন্ট।
যদিও বীকসলির আইনজীবীরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে এই ঘটনা ক্রীড়া বিশ্বে খেলোয়াড়দের ভাবমূর্তি এবং ক্যারিয়ারের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা আবারও আলোচনায় এসেছে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন