ভিয়েতনামের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’। এর প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরই মধ্যে সেখানকার কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকার স্কুল ও বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কাজিকি আঘাত হানলে ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে, যা Category 2 ক্যাটাগরির হারিকেনের সমান।
ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির থান হোয়া এবং এনগান প্রদেশের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এছাড়া, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে উদ্ধারকারী দল ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কাজিকি সোমবার (যেদিন খবরটি লেখা হচ্ছে) দুপুরের দিকে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফাম মিনহ চিনহ এই ঘূর্ণিঝড়কে দ্রুতগতির ও অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজিকির প্রভাবে দেশটির কৃষি ও মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে অনেক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া, প্রতিবেশী দেশ লাওস এবং থাইল্যান্ডেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’র আগে চীনের হাইনান দ্বীপকে অতিক্রম করেছে।
সেখানেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। হাইনান দ্বীপের সানয়া শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য এই ঘূর্ণিঝড়ের খবর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, আমাদের দেশও ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। অতীতে সিডর, আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তাই, ভিয়েতনামের এই দুর্যোগ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি এবং আমাদের দুর্যোগ প্রস্তুতি আরও জোরদার করতে পারি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।