টমি ফ্লিটউড, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন, অবশেষে জয় ছিনিয়ে নিলেন। আটলান্টায় অনুষ্ঠিত ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি প্রথম পিজিএ ট্যুর খেতাব জয় করেন, সেই সঙ্গে জিতে নেন ফেডেক্স কাপ।
এই জয়ের ফলে তিনি এক কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১০৯ কোটি টাকার বেশি) পুরস্কারও পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ পর্যায়ে খেলার পরও পিজিএ ট্যুরে শিরোপা জেতা হয়নি ফ্লিটউডের। এর আগে বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে।
তবে, তিনি কখনোই আশা হারাননি। রবিবার টুর্নামেন্টের শেষ দিনে তিনি ৬-আন্ডার ৬৮ স্কোর করেন এবং তিন শটের ব্যবধানে জয়ী হন।
বিজয়ের পর ফ্লিটউড বলেন, “সহজেই বলা যায় আপনি হার মানেন না, কিন্তু বাস্তবে সেটি ধরে রাখা কঠিন।
আমি ভাগ্যবান যে আমাকে এই দিকটি দেখাতে হয়েছে। এবং এর ফল পাওয়াতেও আমি খুশি।”
খেলায় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলেও ফ্লিটউড ছিলেন অবিচল। প্যাট্রিক ক্যানটলের খারাপ শুরুর পরও তিনি ভেঙে পড়েননি, স্কটি শেফলার যখন পরপর তিনটি বার্ডি করে খেলায় গতি সঞ্চার করছিলেন, তখনও তিনি মনোযোগ ধরে রেখেছিলেন।
এমনকি ১৫ নম্বর হোলের কঠিন চ্যালেঞ্জও তিনি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেন।
এই জয়ের পর কিংবদন্তি গলফার টাইগার উডস সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম, স্থিতিশীলতা এবং হৃদয়ের জোর যে ফল দেয়, এই জয় তারই প্রমাণ।
কেউই এর চেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার যোগ্য নয়।”
ফ্লিটউডের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন অন্যান্য খেলোয়াড়রাও। ররি ম্যাকলরয় বলেন, “ফ্লিটউডের এই মানসিকতা এবং দৃঢ়তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”
রাইডার কাপের ক্যাপ্টেন কিগান ব্র্যাডলিও ফ্লিটউডের খেলা দেখে মুগ্ধ।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, রবিবার রাইডার কাপে আমরা জিতব।
তখনই আমি বুঝতে পারব আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে আমি কিছুই বলতে পারছি না।”
ফ্লিটউডের এই জয়ে যেন অপূর্ণতার অবসান হলো।
তিনি বলেন, “পিজিএ ট্যুরে জয় আমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।”
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ফ্লিটউড বেশ কয়েকবার ফাইনাল রাউন্ডে ভালো অবস্থানে থেকেও শেষ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারেননি।
তবে, তিনি কখনোই হতাশ হননি এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন প্যাট্রিক ক্যানটলে এবং রাসেল হেনলি।
স্কটি শেফলার ভালো খেললেও কয়েকটি ভুলের কারণে পিছিয়ে পড়েন। ক্যামেরন ইয়ংও ভালো খেলে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস