ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কেনিয়ার দাবানল এবং যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিতর্ক।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কেনিয়ার একটি দাবানল সৃষ্টি এবং সৈন্যদের দ্বারা যৌন অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাগুলোর জেরে ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর প্রতি কেনিয়ার জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি, কেনিয়ার আদালতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের একটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রায় ৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে কেনিয়ার লোল্ডাইগা পাহাড়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের অসাবধানতাবশত সৃষ্ট দাবানলে ১২,০০০ একরের বেশি বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে একজন নিহত হয় এবং অসংখ্য বন্য প্রাণী মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুনের ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাসকষ্টসহ চোখের সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়রা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
তাদের দাবি ছিল প্রায় ৫৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ, তবে অনেককে মাত্র ১৩০ পাউন্ডের মতো প্রদান করা হয়েছে।
এই ঘটনার পাশাপাশি, ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগও উঠেছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার নানিয়ুকি অঞ্চলে মোতায়েন থাকা ব্রিটিশ সেনারা পতিতাবৃত্তিকে উৎসাহিত করছে, যা কেনিয়ার আইনে নিষিদ্ধ।
সম্প্রতি, ব্রিটেনের একটি আদালত ১১ জন ব্রিটিশ সৈন্যের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে কেনিয়ার নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে সন্তান জন্ম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনাগুলো কেনিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান সামরিক সম্পর্ককে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
কেনিয়া এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে, যা প্রতি পাঁচ বছর পর পর নবায়ন করা হয়। এই চুক্তির অধীনে, কেনিয়ার মাটিতে ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করার অধিকার কেনিয়ার।
এই সামরিক চুক্তির বিষয়ে নতুন করে পর্যালোচনা করার জন্য কেনিয়ার পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠেছে।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস