আতঙ্ক! বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্দুকধারীর গুজব, শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া বন্দুক হামলার (Active Shooter) খবর ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনাগুলো ‘সোয়াটিং’ নামে পরিচিত, যেখানে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করা হয়।

সম্প্রতি, দেশটির বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ভীতি ও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।

গত সপ্তাহে, পেনসিলভানিয়ার ভিলানোভা বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেনেসির চ্যাটানোগা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পরে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে এবং অনেকে বাথরুম ও ক্লাসরুমে আশ্রয় নেয়।

খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে, কিন্তু পরে জানা যায় যে এটি ছিল একটি মিথ্যা খবর। কর্তৃপক্ষের মতে, কোনো বন্দুকধারী ছিল না এবং গুলির ঘটনাও ঘটেনি।

এই ধরনের ঘটনাগুলো কেবল এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে শুরু করে অ্যারিজোনা পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। এর ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই ধরনের ‘সোয়াটিং’-এর মূল উদ্দেশ্য হলো আতঙ্ক তৈরি করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল্যবান সময় নষ্ট করা। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধরনের ভুয়া খবর তৈরি ও ছড়ানো সহজ হয়ে গেছে।

সাধারণত, ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্যবহার করে ফোন কল করা হয়, যার ফলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে কণ্ঠস্বর নকল করে গুজব আরও দ্রুত ছড়ানো হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা নতুন নয়। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ভীতি তৈরি করে। এই ভয়ের সুযোগ নিয়েই সোয়াটিংকারীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, সোয়াটিং একটি গুরুতর অপরাধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *