ভোটের লড়াই: টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ার দলগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ বাজি!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নতুন করে সাজাচ্ছে। উভয় রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের জন্য লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। খবরটি মূলত এমনটাই।

টেক্সাসে, রিপাবলিকান পার্টি রাজ্যের নির্বাচনী মানচিত্র নতুন করে তৈরি করেছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনপুষ্ট ভোটারদের একত্রিত করে আরও বেশি সংখ্যক আসনে জয়লাভ করা। তাঁদের ধারণা, এই পরিবর্তনের ফলে তারা অন্তত পাঁচটি নতুন আসনে সুবিধা পাবে। তবে, এই পরিকল্পনা কতটা সফল হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

কারণ, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এছাড়াও, আগামী নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কেমন থাকে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

ক্যালিফোর্নিয়াতেও ডেমোক্রেটরা একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। তারাও তাদের রাজ্যের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পরিবর্তন করে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়াতে চাইছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেটদের এই পদক্ষেপ টেক্সাসের রিপাবলিকানদের কৌশলের মোকাবিলা করার একটি চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে, ক্যালিফোর্নিয়ার এই মানচিত্র এখনো চূড়ান্ত নয়। এখানেও আইনি জটিলতা এবং ভোটারদের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উভয় রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে, টেক্সাসে রিপাবলিকানরা হিস্পানিক ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে চাইছে।

তাদের বিশ্বাস, ট্রাম্পের সময়ে হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যে যে সমর্থন বেড়েছিল, তা অব্যাহত থাকবে। যদি তাই হয়, তবে তারা রিও গ্র্যান্ড ভ্যালি সহ আরও কয়েকটি আসনে জয়লাভ করতে পারে। তবে, ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাদের লড়তে হবে, যাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো প্রভাব রয়েছে।

অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা আশা করছে, তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে রিপাবলিকানদের হারাতে পারবে। তবে, এখানেও কিছু কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা অপেক্ষা করছে। উভয় রাজ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর এই কৌশল কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে বিভিন্ন কারণের ওপর, যেমন – ভোটারদের অংশগ্রহণ, জনমত এবং প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনগুলোতে সাধারণত ভোটারদের উপস্থিতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তুলনায় কম থাকে। ফলে, এই নির্বাচনের ফল অনুমান করা কঠিন। টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর ফিল কিং মনে করেন, নতুন মানচিত্র তৈরি হলেও বেশি সংখ্যক রিপাবলিকান নির্বাচিত হবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি সতর্ক করে বলেছেন, টেক্সাসের নতুন মানচিত্র মূলত ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভরশীল।

মোটকথা, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর এই পদক্ষেপ ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাজি। এই বাজি জেতার জন্য দলগুলোকে অনেক হিসাব-নিকাশ করে এগোতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *