গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ, ডেনমার্কের কাছে তলব রাষ্ট্রদূত।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির প্রেক্ষাপটে, ডেনমার্ক সম্প্রতি একটি গুরুতর পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ব্যক্তির ‘গোপন প্রভাব বিস্তারের’ অভিযোগের ভিত্তিতে, দেশটির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে।
ডেনমার্কের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম, ডিআর-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনজন ব্যক্তি গ্রিনল্যান্ডে এই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
আর্টিক অঞ্চলে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড, ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ অনেক দিনের।
অতীতে, দ্বীপটি কেনার প্রস্তাব দিয়েও আলোচনায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ড উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দ্বীপটিকে বিক্রির জন্য উপলব্ধ নয় বলে জানিয়েছে।
ডিআর-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি ও নিরাপত্তা সূত্র এবং গ্রিনল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্ত অন্তত তিনজন আমেরিকান নাগরিক সেখানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।
তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পর্ক দুর্বল করা। যদিও ওই আমেরিকানরা কারো নির্দেশে কাজ করছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লওক রাসমুসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা জানি যে বিদেশি শক্তিগুলো গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক রাজ্যের অবস্থানের প্রতি আগ্রহী।
তাই, ভবিষ্যতে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের চেষ্টা হলে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।” তিনি আরও বলেন, ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের সরকারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা খুবই ঘনিষ্ঠ এবং পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে গঠিত।
ন্যাটো জোটের সদস্য ডেনমার্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ছোট দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রভাব বিস্তারের এই প্রবণতা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি উদ্বেগের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে, ডেনমার্কের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন