ফিলিপাইনের তরুণ টেনিস তারকা অ্যালেক্স ইয়ালা ইউএস ওপেনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। গ্র্যান্ড স্ল্যামের মূল ড্র-তে প্রথম ফিলিপিনো হিসেবে জয়লাভ করে তিনি শুধু নিজের দেশকেই গর্বিত করেননি, বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার টেনিস খেলোয়াড়দের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
রবিবার অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডের খেলায় ১৪ নম্বর বাছাই ক্লারা টাউসনকে ৬-৩, ২-৬, ৭-৬ (১১) গেমে পরাজিত করেন ইয়ালা।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ইয়ালা বলেন, “আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের। এই জয় আমার কাছে শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়েও অনেক বড় কিছু।”
নিউইয়র্কের ফ্ল্যাশিং মেডোজে ইউএস ওপেন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে প্রচুর ফিলিপিনো সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। গ্যালারিতে তাদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
খেলার সময় ইয়ালাকে সমর্থন জানাতে আসা দর্শকদের চিৎকারে যেন অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয়েছিল। ইয়ালা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এখানে আমার কোনো হোম টুর্নামেন্ট নেই, তাই ইউএস ওপেনে এই সমর্থন পাওয়াটা আমার কাছে home-এর মতোই।”
মাত্র ২০ বছর বয়সী ইয়ালা ইতোমধ্যেই টেনিস বিশ্বে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ২০২১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে মেয়েদের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ২০২২ সালে ইউএস ওপেনে জুনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যামের মেয়েদের একক শিরোপা জেতেন তিনি।
এই সাফল্যের পর তিনি দ্রুত পরিচিতি লাভ করেন এবং ভোগ ফিলিপিন্সের প্রচ্ছদেও জায়গা করে নেন।
ইয়ালা জানান, এই ঐতিহাসিক জয়ে তিনি খুবই আনন্দিত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টেনিসের উন্নতি দেখে তিনি গর্বিত।
ইন্দোনেশিয়ার টেনিস খেলোয়াড় জেনিস টেনও প্রথম রাউন্ডে জয়লাভ করেছেন, যা এই অঞ্চলের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
শুধু ইয়ালাই নন, হংকংয়ের ২১ বছর বয়সী কোম্যান ওংও ইউএস ওপেনে পুরুষদের বিভাগে প্রথম জয়লাভ করে ইতিহাস গড়েছেন।
ইয়ালা জানান, মায়ামিতে সাফল্যের পর তার জীবনযাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, তবে এখন অনেকেই তাকে চেনেন।
তিনি তার সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি তিনি ইস্টবোর্ন ওপেনে ফাইনাল খেলেন।
তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ইয়ালা বলেন, “সবকিছুই সম্ভব, বড় স্বপ্ন দেখো।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন