ট্রাম্পের নির্দেশে ইউনিয়ন স্টেশন! সরকার কি দখল করতে চলেছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির কেন্দ্রবিন্দু, ইউনিয়ন স্টেশন, তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শীঘ্রই সম্ভবত সরাসরি গ্রহণ করতে যাচ্ছে দেশটির পরিবহন দপ্তর।

সম্প্রতি, অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণে কিছু দুর্বলতা দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

পরিবহন সচিব শান ডাফি এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা এই শহরের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই, এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।”

জানা গেছে, ইউনিয়ন স্টেশন রিডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং অ্যামট্র্যাকের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তিগুলো নতুন করে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিবহন দপ্তর তাদের নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বহাল করতে পারবে।

এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশ, যা ওয়াশিংটন ডিসিকে “নিরাপদ ও সুন্দর” করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।

এই আদেশের অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন স্থান, যেমন স্মৃতিস্তম্ভ ও পার্কগুলোর সংস্কার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কুশ দেসাই জানিয়েছেন, পরিবহন দপ্তর “ইউনিয়ন স্টেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়, যা আমাদের জাতির রাজধানীর জন্য উপকারী হবে।

এদিকে, ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউজার এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইউনিয়ন স্টেশনের উন্নয়নে ফেডারেল সরকারের এই বৃহত্তর ভূমিকা একটি “অসাধারণ বিনিয়োগ” হতে পারে।

মেয়র আরও উল্লেখ করেন, স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় অর্থ সংকটে ভুগছে, ফলে সংস্কারের কাজগুলো ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে ইউনিয়ন স্টেশনের মালিকানা ছিল পরিবহন দপ্তরের হাতে।

তবে বিভিন্ন চুক্তি ও ইজারা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কমে আসে।

বর্তমানে, স্টেশনের পার্কিং কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করে ইউনিয়ন স্টেশন রিডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, কিন্তু তাদের আয় ছিল সীমিত।

এছাড়াও, সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

তাঁদের উপর শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা এবং সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা এখন অস্ত্র বহনেরও অনুমতি পেয়েছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *