রবিবারে পোশাক বিক্রি: বিশাল শপিং মলের বিরুদ্ধে মামলা!

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির একটি বিশাল শপিং মল ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর বিরুদ্ধে রবিবার দোকান খোলা রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই মলটি রাজ্যের পুরনো আইন ভেঙে রবিবারও কেনাকাটার সুযোগ করে দিচ্ছে, যা ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি করছে।

মামলাটি করেছে নিউ জার্সির প্যারামাস শহরের কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, আমেরিকান ড্রিম মলটি এমন একটি কাউন্টি আইনের লঙ্ঘন করছে যেখানে রবিবার অপরিহার্য জিনিসপত্র ছাড়া অন্য কোনো জিনিস, যেমন কাপড়, আসবাবপত্র ইত্যাদি বিক্রি নিষিদ্ধ। এই ধরনের ‘ব্লু ল’ বা নীল আইন-এর শিকড় বহু শতাব্দি পুরনো, যা মূলত ধর্মীয় অনুশাসন থেকে এসেছে।

তবে আধুনিককালে কেউ কেউ মনে করেন, এই আইনের কারণে ব্যস্ততম শহরগুলোতেও বাসিন্দারা কিছুটা বিশ্রাম পান, বিশেষ করে কেনাকাটার কোলাহল থেকে দূরে থাকা যায়।

প্যারামাস শহর কর্তৃপক্ষের মতে, বার্গেন কাউন্টিতে প্রায় সব দোকানই রবিবার বন্ধ থাকে। কিন্তু আমেরিকান ড্রিম মলটি তাদের নিয়ম ভেঙে দোকান খোলা রাখছে। বিষয়টি নিয়ে প্যারামাসের মেয়র ক্রিস্টোফার ডিপাজ্জা বলেছেন, মল কর্তৃপক্ষ নাকি আগে কথা দিয়েছিল যে তারা কাউন্টির আইন মেনেই রবিবার দোকান বন্ধ রাখবে।

আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, আমেরিকান ড্রিম কর্তৃপক্ষ অন্তত কয়েকশ বার আইন ভেঙেছে। যদিও মল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা যে স্থানে অবস্থিত, সেটি সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় তাদের ওপর এই আইনের কোনও প্রভাব নেই।

তাদের মতে, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বার্জেন কাউন্টির নির্বাহী জিম টেডেস্কো জানিয়েছেন, মল কর্তৃপক্ষ তাদের কথা দিয়েছিল যে রবিবার তারা দোকান বন্ধ রাখবে। তিনি আরও বলেন, তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজ্যের আইন ভাঙাই নয়, বরং বার্গেন কাউন্টির অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও এটি এক ধরণের অন্যায় আচরণ।

কারণ, অন্য ব্যবসায়ীরা আইন মেনে চললেও তারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

মামলায় ইস্ট রাদারফোর্ড শহর এবং নিউ জার্সি স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সপোজিশন অথরিটিকেও (এনজেএসএই) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনজেএসএই এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

কারণ, বিষয়টি এখন বিচারাধীন।

নিউ জার্সির ‘ব্লু ল’ আইনগুলি একসময় আরও কঠোর ছিল এবং রাজ্যজুড়ে তা কার্যকর করা হতো। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, এই আইনে বিনোদনমূলক কাজকর্ম এবং জরুরি নয় এমন ভ্রমণও নিষিদ্ধ ছিল।

তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *