বদলে গেল ভাগ্য! গ্রিন বে-তে পার্সনস: কঠিন মাস শেষে নতুন স্বপ্ন!

যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল লীগ এনএফএল-এর দল গ্রিন বে প্যাকার্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারকা ডিফেন্সিভ প্লেয়ার মাইকা পার্সন্স। সম্প্রতি ডালাস কাউবয়জ দল থেকে তিনি এই দলে এসেছেন।

এই চুক্তির ফলে পার্সন্স বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত নন-কোয়ার্টারব্যাক খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন। খেলোয়াড় এবং দলের জন্য এই পরিবর্তন কেমন প্রভাব ফেলবে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জানা যায়, ডালাস কাউবয়জের সঙ্গে পার্সন্সের চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গ্রিন বে প্যাকার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

প্যাকার্স দলে যোগ দিয়ে পার্সন্স যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। দলের কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে চান তিনি। গ্রিন বে-র হয়ে খেলতে পারাটা তার জন্য সম্মানের।

দলবদলের অংশ হিসেবে গ্রিন বে প্যাকার্স, ডালাস কাউবয়জকে দুটি প্রথম রাউন্ডের ড্রাফট বাছাই এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কেনি ক্লার্ককে দিয়েছে। এর বিনিময়ে পার্সন্সকে দলে ভেড়ানো হয়েছে।

প্যাকার্সের সঙ্গে পার্সন্সের চার বছরের জন্য ১৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬ মিলিয়ন ডলার নিশ্চিত।

পার্সন্সকে দলে পাওয়ার পর গ্রিন বে-র কোচ ম্যাট ফ্লাওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তার মতে, পার্সন্সের মতো খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ। কারণ, তিনি খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

পার্সন্স মূলত একজন ‘পাস রাশার’, যিনি প্রতিপক্ষের কোয়ার্টারব্যাককে চাপে ফেলার কাজ করেন।

নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর পার্সন্স তার জার্সি নম্বর পরিবর্তন করেছেন। ডালাস কাউবয়জে তিনি ১১ নম্বর জার্সি পরতেন, যা বর্তমানে গ্রিন বে-তে জেইডেন রিড পরেন। তাই তিনি ১ নম্বর জার্সি পরবেন, যা ১৯২৫-২৬ সালের পর এই প্রথম কোনো প্যাকার্স খেলোয়াড় পরবেন।

মাইকা পার্সন্সের এই দলবদলের ফলে গ্রিন বে প্যাকার্সের আক্রমণভাগে নতুন শক্তি যোগ হবে। পার্সন্স এর আগে ডালাস কাউবয়জের হয়ে খেলেছেন, যেখানে তিনি ৪ মৌসুমে অন্তত ১২টি করে ‘স্যাক’ করেছেন।

‘স্যাক’ হলো আমেরিকান ফুটবলে একটি বিশেষ পরিমাপ, যেখানে একজন ডিফেন্ডার আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে বল ছুড়বার আগেই ধরে ফেলেন।

এই চুক্তির ফলে গ্রিন বে প্যাকার্সের দল গঠনে কিছু পরিবর্তন আসবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কেনি ক্লার্ককে ছেড়ে দেওয়ায় দলের রক্ষণভাগে কিছু দুর্বলতা তৈরি হতে পারে।

এছাড়াও, পার্সন্স এবং কোয়ার্টারব্যাক জর্ডান লাভকে দেওয়া বিশাল অঙ্কের বেতন ক্যাপের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। খেলোয়াড়দের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হিসাব করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে হয়, যা ‘স্যালারি ক্যাপ’ নামে পরিচিত।

তবে, পার্সন্স মনে করেন, এই চাপ তার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ, এর মাধ্যমে দল তার ওপর আস্থা রাখছে এবং তিনি তার সেরাটা দিতে প্রস্তুত।

খেলাধুলায় দলবদল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। খেলোয়াড় এবং দলের মধ্যে কৌশলগত এবং আর্থিক হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে এই ধরনের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের ফলে খেলোয়াড় যেমন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তেমনি দলের পারফরম্যান্সেও পরিবর্তন আসে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *