৭০ বছর পর এমmett টিলের হত্যার অস্ত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে: বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।
১৯৫৫ সালে মিসিসিপিতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, যা আমেরিকার ইতিহাসে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। ১৪ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর এমmett টিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার স্মৃতি আজও অম্লান।
সেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বন্দুকটি অবশেষে জনসাধারণের জন্য উন্মোচন করা হয়েছে, যা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমmett টিলের হত্যাকাণ্ড শুধু একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি ছিল না, এটি ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক। শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা টিলের উপর চালানো বর্বরতা এবং তাঁর মায়ের সাহসী পদক্ষেপ—প্রকাশ্যে তাঁর কফিন উন্মোচন—সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এর ফলস্বরূপ, আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
বন্দুকটি বর্তমানে “টু মিসিসিপি মিউজিয়াম”-এ প্রদর্শিত হচ্ছে। এটি মিসিসিপি রাজ্যের দুটি জাদুঘরের একটি সম্মিলিত প্রদর্শনী। জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রদর্শনীটির মূল উদ্দেশ্য হল এমmett টিলের হত্যাকাণ্ডের “পুরো গল্প” তুলে ধরা।
বন্দুকটির সিরিয়াল নম্বর পরীক্ষা করে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্যের সাথে মিলে যায়।
এমmett টিলের পরিবারের সদস্যরা এই বন্দুক প্রদর্শনের বিষয়ে দ্বিধা বিভক্ত। তাঁরা একদিকে যেমন বিচারের অপেক্ষায় আছেন, তেমনই এর শিক্ষাগত গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। তাঁদের মতে, এই অস্ত্রটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঐতিহাসিক সত্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করবে এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উৎসাহিত করবে।
এই প্রদর্শনীটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আমেরিকার বিভিন্ন জাদুঘর তাদের ঐতিহাসিক প্রদর্শনীগুলোতে কিভাবে সংবেদনশীল বিষয়গুলো তুলে ধরবে, সেই বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে, মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা তাঁদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না।
তাঁদের মতে, নাগরিক অধিকার জাদুঘরের মূল উদ্দেশ্য হল মিসিসিপিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের বিষয়ে “সত্য ঘটনা” তুলে ধরা এবং এই প্রদর্শনী সেই লক্ষ্যেরই একটি অংশ।
এমmett টিলের হত্যাকাণ্ড ছিল এক ভয়ানক ঘটনা। তাঁর মৃত্যু আমেরিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এই বন্দুক প্রদর্শনের মাধ্যমে, সেই শোকাবহ ঘটনার স্মৃতি আজও জাগ্রত রাখা হয়েছে, যা অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন