চীন: সামরিক কুচকাওয়াজে অস্ত্রের মহড়া! বিশ্বকে চমকে দেওয়ার প্রস্তুতি?

চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে বেইজিংয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ।

চীন তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে রাজধানী বেইজিংয়ে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার অনুষ্ঠিতব্য এই কুচকাওয়াজে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান এবং ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে শি জিনপিং এই কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেবেন এবং ভাষন দেবেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন, যারা বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।

কুচকাওয়াজের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করা এবং বহির্বিশ্বে চীনের সামরিক শক্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই সামরিক শক্তি প্রদর্শন প্রতিবেশী দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ বিভিন্ন দেশের নেতারা ইতিমধ্যে বেইজিং পৌঁছেছেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না।

এই কুচকাওয়াজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। সাধারণ মানুষের জন্য এটি সরাসরি দেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।

মূলত, টেলিভিশনের পর্দায় অথবা অনলাইন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এই আয়োজন উপভোগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চীন বর্তমানে সামরিক খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং প্রযুক্তির দিক থেকেও তারা অনেক উন্নতি করেছে। তাদের এই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *