**নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন: ট্রাম্পের চাল, উল্টো ফল?**
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন এখন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপ এই নির্বাচনের গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে, তবে অনেকের মতে, এর ফল ট্রাম্পের জন্য ভালো হচ্ছে না।
খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা ডেমোক্রেট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন জোগাড় করতে চাইছে, কারণ তাঁরা মনে করছেন, সোশ্যালিস্ট প্রার্থী জোহরান মামদানি নির্বাচিত হলে তা তাঁদের জন্য ক্ষতিকর হবে।
এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের কর্মকাণ্ড মামদানির প্রচারের জন্য বরং সহায়ক হচ্ছে, কারণ এর মাধ্যমে কুমোকে ট্রাম্পের কাছাকাছি হিসেবে তুলে ধরা সহজ হচ্ছে।
নির্বাচনে আরও কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন, যেমন এরিক অ্যাডামস এবং কার্টিস স্লিওয়া। তাঁরাও ট্রাম্পের এই হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, ডেমোক্রেটিক পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মামদানির প্রতি সমর্থন জানাতে দ্বিধা বোধ করছেন, যা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে, জোহরান মামদানি নির্বাচনে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি, বার্নি স্যান্ডার্সের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির সমর্থন তাঁর পক্ষে এসেছে। ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত শ্রমিক দিবসের এক মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন মামদানি ও স্যান্ডার্স।
সেখানে তাঁরা ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। কুমো অবশ্য ট্রাম্পের সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, রিপাবলিকানরা শেষ পর্যন্ত মামদানির জয় চাইছে। কারণ, মামদানি জিতলে তাকে সারা দেশে ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো সহজ হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের হস্তক্ষেপ নিউ ইয়র্কের ভোটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে। অনেকে মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ সম্ভবত রিয়েল এস্টেট স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, যা তিনি, তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফের সঙ্গে জড়িত।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। তবে, শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
তথ্যসূত্র: সিএনএন