যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে জীবন বাঁচাতে আসা এক তরুণীর যুক্তরাষ্ট্রে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নাড়া দিয়েছে। শার্লোট শহরের একটি হালকা রেল লাইনের ট্রেনে, এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে নিহত হন ২৩ বছর বয়সী ইরিনা জারুস্কা।
ঘটনার পরে, হামলাকারীর মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ইরিনা জারুস্কা ছিলেন একজন শিল্পী এবং তিনি কিয়েভের একটি কলেজ থেকে শিল্পকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তিনি তার পরিবার সহ জীবন বাঁচাতে প্রায় দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
শার্লোটে তিনি নতুন করে জীবন শুরু করেছিলেন এবং স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রাতের বেলা ট্রেনে করে ফেরার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের অন্য এক যাত্রী, ডিকার্লোস ব্রাউন, হঠাৎ করেই ইরিনার উপর হামলা চালান।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ডিকার্লোস ব্রাউনের বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রাউনের এর আগেও বেশ কয়েকটি অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, যার মধ্যে অস্ত্র সহ ডাকাতি, চুরি এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনাও রয়েছে।
ব্রাউনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বোন জানিয়েছেন, ব্রাউনের সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা ছিল এবং তিনি অনেক সময় হ্যালুসিনেশন ও প্যারানোয়ার শিকার হতেন।
এই ঘটনার পর, ব্রাউনের মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ব্রাউনের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই এমনটা ঘটেছে।
স্থানীয় মেয়র এবং ব্রাউনের পরিবারের সদস্যরাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একইসাথে, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো সমাধানে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন