আতঙ্কে গাজা! নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: ‘শুরুটা কেবল…’,

গাজা শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে তারা গাজা শহরে ব্যাপক অভিযান চালাবে।

এর আগে সেখানকার প্রায় ১০ লক্ষ বাসিন্দাকে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আরবি মুখপাত্র আবিচাই আদ্রেই এক বিবৃতিতে গাজা শহরের বাসিন্দাদের প্রতি এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আপনাদের নিরাপত্তার জন্য, পুরাতন শহর থেকে শুরু করে পূর্বে তুফাহ এবং পশ্চিমে সমুদ্র পর্যন্ত গাজা শহরের সকল বাসিন্দা ও তাদের আশেপাশের এলাকা খালি করে দিন।

আপনারা রাশিদ অক্ষের (উপকূলীয় রাস্তা) মাধ্যমে আল-মাওয়াসির দিকে যান।

ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে শহরজুড়ে লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে, যেখানে উত্তর গাজা থেকে উপকূল ধরে দক্ষিণে যাওয়ার একটি মানচিত্র দেওয়া ছিল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, “এটি কেবল শুরু।” এর কয়েক ঘণ্টা পরেই শহরটিতে বিমান হামলা জোরদার করা হয়।

গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের প্রধান অংশে প্রবেশ করে সেখানকার ৪০ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

তবে, এখন পর্যন্ত গাজা শহরের এক মিলিয়নের বেশি বাসিন্দার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কম, অর্থাৎ প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি শহর ছেড়েছেন।

অন্যদিকে, মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল মিলে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের স্থান বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

বর্তমানে এই ধরনের চারটি স্থান রয়েছে এবং খুব শীঘ্রই তা ১৬টিতে উন্নীত করার কথা রয়েছে।

তবে, অনেক গাজাবাসী জানিয়েছেন, তারা উদ্বাস্তু হওয়ার চেয়ে নিজেদের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করতে রাজি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *