আতঙ্ক! দ্রুত বাড়ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস: স্বাস্থ্য সতর্কতা!

শিরোনাম: আমেরিকায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি, বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা

এই বছর আমেরিকায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।

রোগের বিস্তার মূলত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বেশি দেখা যায়। তাই জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জনসাধারণকে সতর্ক করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention – CDC) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত ৭৭০ জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৪৯০ জনের অবস্থা গুরুতর।

সাধারণত, এই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা থাকে প্রায় ৫৫০ জন, যার মধ্যে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা থাকে প্রায় ৩৫০ জন।

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস একটি মশাবাহিত রোগ। এটি প্রথমবার ১৯৯৯ সালে নিউইয়র্কে সনাক্ত করা হয়।

এরপর ধীরে ধীরে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পরে। ২০০৩ সালে এই রোগের প্রকোপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যখন প্রায় ১০,০০০ জন আক্রান্ত হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক মানুষ, সম্ভবত প্রতি বছর কয়েক হাজার, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, কিন্তু তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যায় না।

কারো কারো হালকা উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন – মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, joint pain, বমি, ডায়রিয়া এবং rash।

তবে গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে, যা মস্তিষ্কের প্রদাহ (inflammation of the brain) বা মেরুরজ্জুর প্রদাহের (inflammation of the spinal cord) কারণ হতে পারে এবং এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা লম্বা হাতার পোশাক পরা এবং কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

বাংলাদেশেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তাই, মশা থেকে বাঁচতে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

বাড়ির আশেপাশে জল জমা হতে না দেওয়া, মশার লার্ভা ধ্বংস করা এবং মশা তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহার করা – এই সব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। যেহেতু ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এখনো বাংলাদেশে তেমন পরিচিত নয়, তাই এর বিস্তার রোধে সচেতনতা জরুরি।

মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সবাই মশাবাহিত রোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারি।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *