যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী রক্ষণশীল ব্যক্তিত্ব, চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর অ্যারিজোনার একটি স্টেডিয়ামে তার স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চার্লি কার্ক ছিলেন একজন পরিচিত রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’ নামক একটি যুব সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। রক্ষণশীল আদর্শের প্রচারক হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
তার বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতেন। গত বুধবার, ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি নিহত হন।
তদন্তকারীরা ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন। এরই মধ্যে, সন্দেহভাজন টাইলার রবিনসনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে খুন, আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার এবং বিচার কাজে বাধা দেওয়া।
ঘটনার সময়কার কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। গুলির খোসা এবং টাইলারের কিছু অনলাইন বার্তা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহের কারণ জানা গেছে।
তদন্তকারীদের ধারণা, রবিনসন অল্প সময়ের মধ্যেই চরমপন্থী হয়ে উঠেছিল। গুলির খোসায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী কিছু বার্তা খোদাই করা ছিল, যা ঘটনার রাজনৈতিক কারণের ইঙ্গিত দেয়।
এমনকি, রবিনসনের পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়েছিল।
চার্লি কার্কের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী এরিকা কার্ক। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর আদর্শ ও কাজকে তিনি বাঁচিয়ে রাখবেন।
প্রয়াত স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। কার্কের ‘দি চার্লি কার্ক শো’ এবং ক্যাম্পাস সফরগুলোও আগের মতোই চলবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই শোকসভায় যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর, কার্কের সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে শোকসভা ও সমাবেশের আয়োজন করেছেন। অনেকে তার আদর্শের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন এবং তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বর্তমানে, টাইলার রবিনসনকে ইউটাহ কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়েছে এবং তার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং এর পেছনের মূল কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।