গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধ অ্যাসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল নামেও পরিচিত) ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
তাঁদের মতে, এর অতিরিক্ত ব্যবহার অটিজম (Autism) ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে।
অ্যাসিটামিনোফেন, যা সাধারণত জ্বর বা ব্যথার উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পাওয়া যায়, গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ওষুধ হিসেবে বিবেচিত।
তবে, উদ্বেগের কারণ হলো, কিছু গবেষণায় অ্যাসিটামিনোফেন এবং শিশুদের মধ্যে অটিজম ঝুঁকির মধ্যে একটি সম্ভাব্য সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে।
যেহেতু গর্ভাবস্থায় ওষুধ সেবনের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তাই এই নতুন তথ্যের আলোকে অনেক বিশেষজ্ঞই এখন বিষয়টির গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাঁরা রোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের শারীরিক অবস্থা এবং ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারেন।
জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন তীব্র জ্বর বা ব্যথার ক্ষেত্রে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই তা সীমিত পরিমাণে হতে হবে।
বাংলাদেশেও মা ও শিশুর স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক পরিবারে গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়ছে, এবং তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে আগ্রহী হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে, অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারের বিষয়ে নতুন উদ্বেগের কারণে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
তাঁদের মনে রাখতে হবে, কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। কোনো রকম ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, অটিজম একটি জটিল স্নায়ু-বিকাশগত সমস্যা, এবং এর কারণ সম্পূর্ণরূপে জানা যায়নি।
অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারের সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, এবং অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা দরকার।
এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য এবং আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন, এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান প্রদানের উদ্দেশ্যে; এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন