আফগানিস্তানের এক কিশোর বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে কাবুল থেকে দিল্লি পৌঁছেছে। ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা যায়, আনুমানিক ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তা কর্মীদের।
রবিবার সকালে বিমানটি অবতরণের পর কিশোরটিকে দেখতে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বাড়ি আফগানিস্তানের কুন্দুজে। সে একটি ‘কাম এয়ারলাইন্স’-এর বিমানের পেছনের ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে ভ্রমণ করে।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, কিশোরটির সঙ্গে একটি ছোট লাল রঙের স্পিকারও ছিল। পরে তাকে আবার আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।
সাধারণত, বিমানের চাকার অংশে লুকিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেক পুরোনো। কাবুল থেকে দিল্লির দূরত্ব প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার, যা আকাশপথে যেতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
তবে বিমানের এই অংশে লুকিয়ে ভ্রমণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানে লুকিয়ে পাড়ি দিতে গিয়ে ৭৭ শতাংশেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার অল্প জায়গার মধ্যে আবদ্ধ থাকে। অনেক সময় এই জায়গার আকার গাড়ির ট্রাঙ্কের চেয়েও ছোট হয়।
ফলে ল্যান্ডিং গিয়ার বন্ধ হওয়ার সময় সেখানে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হতে পারে।
এছাড়াও, বেশি উচ্চতায় উঠলে বিমানের ভেতরের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে জ্ঞান হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
একইসঙ্গে, বাইরের তাপমাত্রা অনেক কমে যাওয়ায় হাইপোথার্মিয়া বা তুষারপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন