আতঙ্কের রাত: চার্লি কার্ক হত্যা মামলার আসামির চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি!

যুক্তরাষ্ট্র: রক্ষণশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চার্লি কির্কের হত্যা, সন্দেহভাজন আটক।

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চার্লি কির্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসনকে আটক করা হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ আগে ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতার সময় এই ঘটনা ঘটে। কির্ক, যিনি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, তার হত্যাকাণ্ডটি ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

আটককৃত রবিনসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে খুন, বিচারকার্যে বাধা দেওয়া, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুরুতর আঘাত এবং সাক্ষ্য প্রমাণে কারচুপি করার মতো বিষয়।

তদন্তকারীরা বলছেন, তাদের হাতে আসা বিভিন্ন প্রমাণ রবিনসনের দিকেই ইঙ্গিত করছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তার স্বীকারোক্তি।

রবিনসন তার বন্ধু, পরিবারের সদস্য এবং তার সঙ্গীর কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, তিনি কিভাবে ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং ঘটনার পরে রাইফেলটি কোথায় লুকিয়েছিলেন, সে সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন।

আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, রবিনসন তার সঙ্গীকে একটি টেক্সট মেসেজে জানান, “আমার কির্ককে শেষ করার সুযোগ ছিল এবং আমি তা করতে যাচ্ছি।” এরপর তিনি সম্ভবত কির্ককে গুলি করেছেন বলে জানান।

এমনকি, তিনি অনলাইনে গেম খেলার একটি প্ল্যাটফর্মেও (ডিসকর্ড) তার এই কাজের কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলের কাছে একটি রাইফেল উদ্ধার করেছে, যা এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালতের নথিতে রাইফেলটিকে একটি ‘মাউজার মডেল ৯৮’ রাইফেল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এছাড়া, ওই রাইফেল থেকে পাওয়া ডিএনএ-র সঙ্গে রবিনসনের ডিএনএ-র মিল পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত চার্লি কির্ককে ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ঘটনার পর ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বামপন্থী’দের দায়ী করেছেন এবং কির্ককে ‘সত্য ও স্বাধীনতার শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আদালতে রবিনসনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। বর্তমানে, রবিনসনকে কোনো জামিন দেওয়া হয়নি এবং তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *