বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম আউট ম্যাগাজিন। ২০২৩ সালের এই তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখল করেছে জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি এলাকা, যার নাম জিম্বোcho।
বই প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত এই এলাকাটিতে রয়েছে অসংখ্য পুরনো বইয়ের দোকান, কফি শপ এবং সুস্বাদু কারি হাউজ।
টাইম আউট-এর এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাদের সম্পাদক ও লেখকদের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়া মনোনয়ন থেকে।
এরপর সংস্কৃতি, কমিউনিটি, জীবনযাত্রার মান, খাদ্য ও পানীয় এবং “বর্তমান সময়ের অনুভূতি”-র মতো বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে স্থানগুলো নির্বাচন করা হয়।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেলজিয়ামের শহর আন্টওয়ার্পের বরঘারুট এলাকা। এটিকে শহরের “সৃজনশীল কেন্দ্র” হিসাবেও অভিহিত করা হয়।
এখানকার দারুণ সব খাবারের দোকান ও গ্যালারিগুলো এই এলাকার পরিচিতি আরও বাড়িয়েছে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিলের সাও পাওলোর বাররা ফান্ডা এলাকা। শিল্প-ইতিহাসের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে জায়গাটি তৈরি করেছে নিজস্ব আকর্ষণ।
লন্ডনের ক্যাম্বারওয়েল এলাকাটি এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এখানকার “তরুণ হৃদয়ের স্পন্দন”, স্বাধীনতা এবং বহু সংস্কৃতির মিশ্রণ এটিকে বিশেষ করে তুলেছে।
এখানকার সাউথ লন্ডন গ্যালারি এবং অন্যান্য আর্ট স্পেসগুলোও বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শহর শিকাগোর অ্যাভondale এলাকা এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এখানকার ওয়াইন বার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সঙ্গীত ভেন্যুগুলো একে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এছাড়াও, ছোট ব্যবসার জন্য জায়গাটি বেশ পরিচিত।
টাইম আউট-এর ট্রাভেল সম্পাদক গ্রেস বিয়ার্ড সিএনএন ট্রাভেলকে জানিয়েছেন, এই বছরের তালিকায় পরিচিত এবং কম পরিচিত উভয় ধরনের স্থানকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেগুলো স্থানীয়দের কাছে খুবই প্রিয়।
এই তালিকায় লিসবনের অ্যাঞ্জোস-এর মতো স্থানও রয়েছে, যেখানে আধুনিক দোকান ও বুটিকগুলোর দেখা মেলে।
এই এলাকাটি ২০২১ সালের তালিকায় ৩৪ নম্বরে ছিল এবং বর্তমানে জায়গাটি দ্বিতীয়বারের মতো এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
ঢাকার কোনো এলাকা কি এই তালিকায় জায়গা পাওয়ার মতো? রাজধানী ঢাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মিশ্রণে এমন অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেতে পারে।
ভবিষ্যতে, টাইম আউট-এর মতো আন্তর্জাতিক তালিকায় ঢাকার কোনো এলাকার নাম দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তথ্য সূত্র: সিএনএন