ছেড়ে যাওয়া প্রেম! ট্র্যাভিস কেলসির আগে, যারা ছিলেন টেইলর সুইফটের জীবনে

শিরোনাম: পুরনো প্রেম, গানের জন্ম: টেইলর সুইফটের জীবনে বিচ্ছেদের প্রভাব

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা টেইলর সুইফট। সম্প্রতি তার জীবনে এসেছে নতুন প্রেম, অভিনেতা ট্র্যাভিস কেলসির সঙ্গে বাগদান সেরেছেন তিনি। তবে সুইফটের গানের জগৎ আসলে গড়ে উঠেছে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা, বিশেষ করে প্রেম এবং বিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা থেকে।

পুরনো প্রেমগুলো যেন এক একটি বীজ, যা থেকে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় গান। আসুন, সেই সম্পর্কগুলোর কিছু গল্প শোনা যাক, যা সুইফটকে দিয়েছে গান লেখার অফুরন্ত অনুপ্রেরণা।

২০০৮ সালে জো জোনাসের সঙ্গে অল্প কিছুদিনের সম্পর্ক ছিল টেইলরের। এই সম্পর্কের স্মৃতি হিসেবে তিনি তৈরি করেছেন “ফরেভার অ্যান্ড অলওয়েজ” গানটি। এছাড়াও, “মি. পারফেক্টলি ফাইন”, “বেটার দ্যান রিভেঞ্জ”, এবং “লাস্ট কিস”-এর মতো গানগুলোও অনেকের মতে জো জোনাসকে নিয়েই লেখা।

জন মেয়ারের সঙ্গে যখন তার সম্পর্ক হয়, তখন টেইলরের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তাদের প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর সুইফট তৈরি করেন “ডিয়ার জন” গানটি। গানটি নিয়ে জন মেয়ার বেশ বিব্রত হয়েছিলেন, কারণ গানের কথাগুলো ছিল বেশ সমালোচনামূলক।

অভিনেতা টেলর লটনারের সঙ্গেও সুইফটের সম্পর্ক ছিল। তাদের একসঙ্গে “ভ্যালেন্টাইন’স ডে” ছবিতে কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয়। শোনা যায়, সুইফটের “ব্যাক টু ডিসেম্বর” গানটি টেলর লটনারকে উৎসর্গীকৃত।

জ্যাক জিলেনহলের সঙ্গে সুইফটের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। তাদের বিচ্ছেদের পর সুইফট “উই আর নেভার এভার গেটিং ব্যাক টুগেদার”, “স্টেট অফ গ্রেস”, এবং “দ্য মোমেন্ট আই নিউ”-এর মতো গানগুলো লেখেন। গানগুলোতে তাদের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

হ্যারি স্টাইলসের সঙ্গেও সুইফটের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরাবন্দী হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সুইফট “স্টাইল”, “আউট অফ দ্য উডস”, এবং “আই নিউ ইউ ওয়ার ট্রাবল” গানগুলো লেখেন।

জো অ্যালউইনের সঙ্গে টেইলরের দীর্ঘ ৬ বছরের বেশি সময়ের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্কের গভীরতা থেকে জন্ম নিয়েছে “লাভেন্ডার হেজ” গানটি। এমনকি, জো অ্যালউইন উইলিয়াম বোওয়েরি ছদ্মনাম ব্যবহার করে সুইফটের “ফোকলোর” এবং “এভারমোর” অ্যালবামের কিছু গান লিখতে সাহায্য করেছিলেন।

তাদের বিচ্ছেদের পর সুইফট “সো লং, লন্ডন” গানটি তৈরি করেন, যা সম্ভবত জো অ্যালউইনকে নিয়েই লেখা।

এছাড়াও, গায়িকা কেটি পেরির সঙ্গে সুইফটের একটি দীর্ঘদিনের মন কষাকষি ছিল। তাদের মনোমালিন্যের ফলস্বরূপ তৈরি হয়েছিল “ব্যাড ব্লাড” গানটি। পরে অবশ্য তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়।

টেইলর সুইফটের গানের জগৎ আসলে তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি। প্রেম, বিচ্ছেদ, আনন্দ, বেদনা – সবকিছুই তিনি গানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তার গানগুলো শুধু শ্রোতাদের মন জয় করেনি, বরং তাকে একজন শিল্পী হিসেবে আরও পরিণত করেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *