সোনার বর্ষণেও মন ভরেনি! জেফারসনের পরবর্তী লক্ষ্য কী?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম দৌড়বিদদের মধ্যে একজন, মেলিসা জেফারসন-উডেন, সম্প্রতি বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। এই প্রতিযোগীতা ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ৪x১০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতে “ট্রিপল ক্রাউন” অর্জন করেন। খেলাধুলার জগতে এমন কৃতিত্ব সত্যিই বিরল।

জেফারসন-উডেনের এই সাফল্যের পথে আসাটা সহজ ছিল না। এক বছর আগে প্যারিস অলিম্পিকে তিনি ১০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। যদিও অলিম্পিকে কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণপদকটি জেতা হয়নি, তবে তার মনোবল ছিল অটুট। আর সেই আত্মবিশ্বাসের জোরেই তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।

দক্ষিণ ক্যারোলিনার এই দৌড়বিদের সাফল্যের মূলমন্ত্র হল কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার ১০০ মিটার দৌড় শেষ করতে সময় লেগেছিল ১০.৬১ সেকেন্ড, যা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের একটি নতুন রেকর্ড। এমনকি এই দৌড়ে তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীর থেকে ০.১৪ সেকেন্ড এগিয়ে ছিলেন।

জেফারসন-উডেনের এই অসাধারণ সাফল্যের পর, এখন তার পরবর্তী লক্ষ্য হল ১০০ মিটার দৌড়ের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙা। বর্তমানে, এই রেকর্ডটি ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ-জয়নারের দখলে, যিনি ১৯৮৮ সালে ১০.৪৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। জেফারসন-উডেন জানিয়েছেন, তিনি শুধু সময়ের পেছনে ছুটতে চান না, বরং নিজের উপর মনোযোগ দিতে চান। তিনি তার প্রশিক্ষকদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং তার চারপাশের মানুষকেও সেইভাবে সাহায্য করতে উৎসাহিত করছেন।

একজন ক্রীড়াবিদের সাফল্যের পেছনে পরিবারের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেফারসন-উডেন তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমার সাফল্যের পেছনে তাদের অনেক অবদান রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি সবসময় তাদের আমার এই যাত্রার সঙ্গী করতে চাই।”

২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের দিকে তাকিয়ে আছেন জেফারসন-উডেন। সেখানে তিনি আবারও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চান। উল্লেখ্য, খুব কম সংখ্যক মহিলা ক্রীড়াবিদই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অলিম্পিক উভয় স্থানেই স্বর্ণপদক জিততে পেরেছেন।

জেফারসন-উডেনের পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক দৌড়বিদ নোয়া লাইলসও পুরুষদের বিভাগে “ট্রিপল ক্রাউন” জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। যদি এই দুই প্রতিযোগী তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন, তবে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাক দলের জন্য একটি বিশাল সম্মান বয়ে আনবে।

জেফারসন-উডেন আরও জানান, “লস অ্যাঞ্জেলেসে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়াটা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু হবে। কারণ, দেশের মাটিতে খেলা হলে দর্শকদের কাছ থেকে আমরা অন্যরকম সমর্থন পাই।”

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *