শিরোনাম: প্লে-অফে চমক, রেড সক্সকে হারিয়ে ইয়্যাঙ্কিজের জয়, ‘তারকা’ জন্ম দিলেন শ্লিটলার
নিউ ইয়র্ক, [তারিখ]- নিউ ইয়র্ক ইয়্যাঙ্কিজের তরুণ খেলোয়াড় ক্যাম শ্লিটলারের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে আমেরিকান লিগের (এএল) প্লে-অফে বোস্টন রেড সক্সকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইয়্যাঙ্কিজ।
এই জয়ে তারা পরবর্তী রাউন্ডে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত খেলায় শ্লিটলার একাই ১২ জন খেলোয়াড়কে আউট করেন এবং আটটি ইনিংসে কোনো রান দেননি।
মাত্র ১৫তম মেজর লিগ ম্যাচে খেলতে নামা শ্লিটলারের এই জয় ছিল সত্যিই অসাধারণ।
খেলা শেষে ইয়্যাঙ্কিজের ম্যানেজার এরন বুন বলেছেন, “আজ এক তারকার জন্ম হল।”
এই জয় আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ শ্লিটলার বেড়ে উঠেছেন বোস্টনে এবং ছোটবেলায় তিনি রেড সক্সের সমর্থক ছিলেন।
এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি নিজের শৈশবের দলের বিরুদ্ধে খেলছেন এবং জয় এনে দিচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে বিশেষ কিছু।
খেলার পর শ্লিটলার বলেন, “আমি সবসময়ই ইয়্যাঙ্কিজের হয়ে খেলতে চেয়েছি।”
ম্যাচের আগে তিনি ইয়্যাঙ্কিজের কিংবদন্তি খেলোয়াড় অ্যান্ডি পেটিটের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যিনি পাঁচবার ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতেছেন।
শ্লিটলার জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এবং জানতেন কী করতে হবে।
শ্লিটলারের সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম।
তিনি এই বছর ডাবল-এ সোমারসে খেলা শুরু করেন। এরপর জুন মাসে তাকে ট্রিপল-এ স্ক্র্যানটন/উইলকেস-বারেতে উন্নীত করা হয় এবং ৯ই জুলাই তিনি মেজর লিগে অভিষেক করেন।
প্রতিপক্ষের বোলার কনেলি আর্লিকে বেশ চাপে রাখেন শ্লিটলার।
আর্লি ছিলেন বোস্টনের সবচেয়ে কম বয়সী প্লে-অফ শুরুর বোলার, যিনি ১৯১৬ সালে ২১ বছর বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
শ্লিটলারের বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ মাইলের বেশি।
ইয়্যাঙ্কিজের অধিনায়ক অ্যারন জজ বলেছেন, “ওকে দেখে কখনও মনে হয়নি কোনো চাপ আছে।
আমাদের কাছে ও এক গোপন অস্ত্র।”
শ্লিটলারের সাফল্যের পেছনে তার শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তিনি একটি বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করেন, যা তার ঘুমের পরিমাণ, হৃদস্পন্দন এবং শরীরের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
এই ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি বোস্টনের ফেনওয়ে পার্কের কাছে অবস্থিত।
শ্লিটলার জানিয়েছেন, খেলার আগের রাতে তিনি ভালোভাবে ঘুমিয়েছিলেন এবং সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন।
এই জয়ে ইয়্যাঙ্কিজ দলের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস