আতঙ্ক! ট্রাম্পের সেনা: দুই শহরে কী হতে যাচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি শহরে সামরিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা, বাড়ছে বিতর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে ন্যাশনাল গার্ড (সামরিক রিজার্ভ বাহিনী) মোতায়েনের সিদ্ধান্তের জেরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছে, শহরগুলোতে অস্থিরতা এবং বিক্ষোভের কারণে এমনটা করা হচ্ছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টিন নোহেম সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই দুই শহরে ফেডারেল সেনা পাঠানো হতে পারে। শিকাগোতে একটি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) অফিসের সামনে বিক্ষোভের পর আটকের ঘটনা ঘটেছে, যা এই সিদ্ধান্তের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পোর্টল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে।

হোয়াইট হাউজের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ওরেগনের গভর্নর টিনা কোটেক এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং একে রাজ্যের অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

পোর্টল্যান্ডে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে এই বাহিনীকে সেখানে পাঠাতে বাধা দেওয়া যায়।

অন্যদিকে, শিকাগোতে অভিবাসন বিষয়ক অভিযানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অভিযানে এক হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। ইলিনয়ের গভর্নর জে বি প্রিটজকার এই পদক্ষেপকে ‘সাংবিধানিক সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফেডারেল সরকারের এমন কার্যক্রম তাদের রাজ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের এই পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ডেমোক্রেট নেতারা বলছেন, এটি মূলত আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী পক্ষের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল গার্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক রিজার্ভ বাহিনী, যা জরুরি পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার কাজে সহায়তা করে থাকে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *