যুক্তরাজ্যে একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সন্দেহভাজনভাবে বিদ্বেষপূর্ণ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। দেশটির উপকূলীয় শহর পিসহাইভেনে শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে, যখন কয়েকজন লোক মসজিদের ভিতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার সময় মসজিদের ভিতরে ষাটোর্ধ্ব দুইজন ব্যক্তি ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত দশটার কিছু আগে কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তি মসজিদের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
এরপর তারা মসজিদের প্রবেশপথে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। মসজিদের এক ব্যবস্থাপক জানান, ঘটনার সময় মসজিদের চেয়ারম্যান এবং অপর একজন মুসল্লি চা পান করছিলেন।
ভাগ্যক্রমে, তাঁরা দ্রুত বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন এবং বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে, মসজিদের সামনে থাকা একটি গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা চেয়ারম্যানের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটিকে বিদ্বেষপূর্ণ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে স্থানীয় এমপি জেমস ম্যাকক্লেরি বলেছেন, “পিসহাইভেনের মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি স্থানীয় জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং পুলিশ এটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে দেখছে।”
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে যুক্তরাজ্যে ইসলামবিদ্বেষ এবং ইহুদিবিদ্বেষের ঘটনা বেড়েছে। এর আগে ম্যানচেস্টারে একটি সিনাগগের বাইরে হামলা হয়, যেখানে দুইজন নিহত হন।
এই প্রেক্ষাপটে, এই ঘটনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এলাকার অন্যান্য উপাসনালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং টহল বৃদ্ধি করেছে।
একইসঙ্গে, ঘৃণামূলক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তারা। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা কেইর স্টারমার ম্যানচেস্টারের ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, “ঘৃণা আবারও বাড়ছে, এবং ব্রিটেনকে আবারও এর বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন