যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রবিবার রাতের এই হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভ অঞ্চলে, যা পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা, সেখানে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আঞ্চলিক রাজধানী লিভিভে একটি শিল্প পার্ক আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
লিভিভের মেয়র আন্দ্রেই সাদোভিয়ি বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোরবেলা আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়াতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, যেখানে একজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় ৭৩,০০০ এর বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিদেনকো জানিয়েছেন, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক, ভিনিৎসিয়া, চেরনিহিভ, খেরসন, খারকিভ এবং ওডেসাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বেসামরিক অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি একে “বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আরেকটি ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কাজ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী ৫০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ৫০০ ড্রোন ছুঁড়েছে।
রাশিয়া এখনো পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, যুদ্ধের চতুর্থ শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তারা ইউক্রেনের জ্বালানি গ্রিডের ওপর হামলা জোরদার করেছে।
এদিকে, ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড তাদের আকাশপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রবিবার সকালে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। পোল্যান্ডের অপারেশনাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পোলিশ এবং মিত্র বিমান আমাদের আকাশসীমায় কাজ করছে, পাশাপাশি স্থল-ভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ও রাডার নজরদারি ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আনা হয়েছে।”
ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত পোল্যান্ডের লুবলিন ও রজেসজów বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসের বিমানবন্দরও বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন