নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস, বজ্রপাত ও বন্যায় অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার দেশটির কর্মকর্তারা এই খবর জানান।
পূর্ব নেপালের পার্বত্য জেলা ইলামে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি গ্রাম ভেসে গেছে, এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে এবং আরও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে নেপাল পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে জানিয়েছেন। ইলামের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভোলা নাথ গুরগাই জানান, একই পরিবারের ছয় সদস্যের মৃত্যু হয়েছে যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ভূমিধস তাদের বাড়িটিকে চাপা দেয়।
বৃষ্টির কারণে দুর্গত গ্রামগুলোতে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে। অনেক রাস্তা হয় ভেসে গেছে, না হয় ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। গুরগাই জানিয়েছেন, আহতদের সরানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হেলিকপ্টার প্রয়োজন।
আরেকটি ঘটনায়, বজ্রপাতে পৃথক জেলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ ১১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বলে ঘিমিরে জানিয়েছেন।
নেপালের সরকার শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শনিবার অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বাতিল করে, তবে রবিবার তা পুনরায় চালু করা হয়।
হিমালয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় উৎসব দশাইন উদযাপন শেষে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরছিলেন কয়েক লাখ মানুষ। বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবের প্রধান দিন, যখন মানুষজন পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে নিজ গ্রামে ফিরে যান।
সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করায় রবিবার মহাসড়কগুলোতে গাড়ির জট দেখা গেছে।
কাঠমান্ডুতে নদীর কাছাকাছি কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সরকার সোমবার পর্যন্ত জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।
গত বছর একই সময়ে বন্যা ও ভূমিধসে ২২৪ জন নিহত এবং ১৫৮ জন আহত হয়েছিল।
এবারের ভারী বৃষ্টিপাত নেপালের বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে হয়েছে, যা সাধারণত জুন মাসে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন