পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনজন বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার সুইডেনের স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয় নোবেল কমিটি।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার পেলেন তারা।
পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানীরা হলেন— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন ক্লার্ক, ফ্রান্সের মিশেল ডেভোরেট এবং ব্রিটেনের জন মার্টিনিস।
তাঁদের এই পুরস্কারের কারণ হলো, বৈদ্যুতিক সার্কিটে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং শক্তি কোয়ান্টাইজেশনের আবিষ্কার।
এই আবিষ্কার পদার্থবিজ্ঞানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে, যা বিজ্ঞান জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলো পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা পরমাণু এবং তার চেয়ে ছোট কণাগুলোর আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।
সহজ ভাষায় বললে, এটি অতি ক্ষুদ্র কণাগুলির জগত নিয়ে কাজ করে, যেখানে শক্তি এবং কণাগুলির আচরণ আমাদের পরিচিত জগৎ থেকে ভিন্ন।
এই বিজ্ঞানীরা এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিটের মধ্যে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
তাদের এই গবেষণা ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করতে সহায়ক হবে।
উদাহরণস্বরূপ, এর মাধ্যমে অত্যন্ত সংবেদনশীল সেন্সর এবং দ্রুতগতির কম্পিউটার তৈরি করা যেতে পারে।
নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই পুরস্কার বিজ্ঞান, সাহিত্য, এবং শান্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের এই স্বীকৃতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ভবিষ্যতের গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
জন ক্লার্ক, মিশেল ডেভোরেট এবং জন মার্টিনিসের এই জয় বিজ্ঞান জগতে নিঃসন্দেহে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন